Advertisement
Advertisement

Breaking News

সম্পত্তির লোভ

সম্পত্তির লোভে বৃদ্ধ দম্পতিকে ধারালো অস্ত্রের কোপ ছেলের, হাত বাদ গেল মায়ের

'গুণধর' ওই ছেলেকে আটক করেছে পুলিশ।

A young man attempt to murder his parents in Bankura

ছবি: প্রতীকী

Published by: Sayani Sen
  • Posted:October 26, 2019 4:59 pm
  • Updated:October 26, 2019 4:59 pm  

দেবব্রত দাস, খাতড়া: সন্তানের কথা ভেবে প্রাণপাত করেছেন মা। কিন্তু জীবনের শেষবেলায় সেই সন্তানের ধারালো অস্ত্রের কোপেই বাদ গেল বৃদ্ধার হাত। পরিজনদের দাবি, সম্পত্তি হস্তগত করতে না পেরে এই কুকীর্তি ছেলের। নির্মম এই ঘটনার সাক্ষী বাঁকুড়ার ইন্দাসের বামনিয়ার দক্ষিণপাড়া। ‘গুণধর’ ওই ছেলেকে আটক করেছে ইন্দাস থানার পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

বামনিয়া গ্রামের দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা প্রফুল্ল ভৌমিকের সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলছিল। প্রফুল্লবাবুর বড় ছেলে প্রশান্ত সব সম্পত্তি তাঁর নামে লিখে দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। কিন্তু বৃদ্ধ দম্পতি তাতে সায় দেননি। তার জেরেই শনিবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ প্রথমে প্রফুল্লবাবুর উপরে ধারালো বটি নিয়ে চড়াও হন প্রশান্ত। স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে বীনাদেবীও আক্রান্ত হন। ধারালো অস্ত্রের কোপে তাঁর দুটি হাতই কাটা পড়েছে। প্রফুল্লবাবুর ছোট ছেলে পরিতোষ ভৌমিক এদিন দুপুরে কাঁদতে কাঁদতে বলেন, “আমি নিম্নজাতের মেয়েকে বিয়ে করেছিলাম বলে বাবা, মা-সহ পরিবারের লোকজন আমাকে দীর্ঘদিন মেনে নেননি। ছ’মাস আগে সকলকে বুঝিয়ে আমি বাড়িতে ঢুকি। তখন থেকেই বাড়িতে বসবাস করছি। তাই নিয়ে দাদা বাড়িতে অশান্তি শুরু করেছিল। গত কয়েকদিন ধরেই দাদা সব সম্পত্তি, ওর নামে লিখে দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিল। বাবা-মা ওকে সব সম্পত্তি লিখে দিতে রাজি হননি। তাই কিছুদিন আগে বাবাকে দাদা মারধরও করেছিল। আমি ব্যবসার কাজে বাইরে চলে গিয়েছিলাম। হঠাৎ আমার স্ত্রী ফোন করে জানায় যে দাদা বাবা-মাকে বটি দিয়ে কেটে দিয়েছে। সম্পত্তির লোভেই দাদা এই কাজ করেছে।”

Advertisement

ঘটনার সময় বাড়িতেই ছিলেন পরিতোষবাবুর স্ত্রী মিনু ভৌমিক। তিনি বলেন, “হঠাৎ করেই আমার ভাসুর বটি বের করে তেড়ে আসেন বাবার দিকে। কিছু বুঝে ওঠার আগে এলোপাথাড়ি কোপাতে শুরু করে দেন। আমি তখন ভয়ে ঘর থেকে পালিয়ে যাই। ফিরে এসে দেখি মেঝেতে রক্তবন্যা। অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন বাবা-মা।”

[আরও পড়ুন: মাঝনদীতে তুমুল বিপর্যয়, ১১ ঘণ্টা লড়াই করে মৃত্যুঞ্জয়ী দুই মাঝি]

জখম অবস্থায় ওই বৃদ্ধ দম্পতি ইন্দাস ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভরতি রয়েছেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁদেরকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্ত ভৌমিক দম্পতির বড় ছেলে প্রশান্ত ভৌমিককে আটক করেছে। বিষ্ণুপুরের এসডিপিও প্রিয়ব্রত বক্সি বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে অনুমান সম্পত্তির লোভেই বৃদ্ধ দম্পতিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়েছে। অভিযুক্তকে আপাতত আটক করা হয়েছে। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হবে।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement