ছবি: প্রতীকী
সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: পরিযায়ী শ্রমিককে নিয়ে ঘর বাঁধতে চেয়েছিল মেয়ে। কিন্তু পরিবার তাতে সায় দেয়নি। বিয়ে ঠিক করা হয়েছিল অন্যত্র। তাই বিয়ের তিন দিন আগে একই ওড়নার ফাঁসে পরিযায়ী শ্রমিক প্রেমিকের সঙ্গে যুগলে আত্মঘাতী হলেন প্রেমিকা। সোমবার সকালে মর্মান্তিক এই ঘটনার সাক্ষী পুরুলিয়ার (Purulia) কেন্দা থানার নাড়ুরডি গ্রাম।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চেন্নাইয়ে শ্রমিকের কাজ করতেন অনুপ রাজোয়ার। বছর বাইশের অনুপের সঙ্গে বেশ কয়েকবছর ধরে ১৯ বছর বয়সি নয়নমণির প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। একে ওপরের দেখা সাক্ষাৎ বিশেষ হত না। তবে সবসময়ই ফোনে যোগাযোগ রাখত তারা। অনুপ বেশ কয়েকদিন আগেই বাড়ি ফিরে আসে। তার ফলে দুজনের মেলামেশা বাড়ছিল। ঘনিষ্ঠতা যে বাড়ছে তা বুঝতে পারেন পরিজনেরা। অনুপ এবং নয়নমণির মধ্যে সম্পর্কের কথা দুই পরিবারের লোকজন জেনে যায়।
তবে নয়নমণির পরিবার পরিযায়ী শ্রমিকের সঙ্গে বিয়ে দিতে রাজি হয়নি। তাই নিয়ে অশান্তি চলছিল। তবু বাড়ির অমতে নয়নমণি ভেবেছিলেন অনুপের সঙ্গে ঘর বাঁধবেন। কিন্তু তাতেও বাধা হয়ে দাঁড়ায় তাঁর পরিজনেরা। প্রায় জোর করেই নয়নমণির পরিবার তার বিয়ে ঠিক করে। স্থির হয় আগামী ২৫ জুন ঝাড়খণ্ডের পটমদা থানা এলাকার বাসিন্দা এক যুবকের সঙ্গে চার হাত এক হবে নয়নমণির। তাই বিয়ের ঠিক তিনদিন আগে একই ওড়নার ফাঁসে আত্মঘাতী হন নয়নমণি ও অনুপ।
সোমবার সকালে কাঁসাই নদীর পাশে করঞ্জা গাছ থেকে ওই দুই তরুণ-তরুণীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে ঘটনাস্থল থেকে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। কেন্দা থানার পুলিশ জানিয়েছে, এটা আত্মহত্যার ঘটনা। তবে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে মৃত ওই যুগলের পরিজনদের সঙ্গে কথাবার্তা বলছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.