সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: দীর্ঘ দুই বছর। প্রতিটি দিন কেটেছে আঁধারে। অপমানে, রাগে, ঘৃণায় গুটিয়ে নিয়েছেন নিজেকে। প্রেমের টানে এক কাপড়ে ঘর ছেড়েছিলেন। কাঁটাতার পেরিয়ে পাড়ি দিয়েছিলেন ওপার বাংলায়। চেয়েছিলেন ভালোবাসা। ভেবেছিলেন সুখের ঘর বাঁধবেন। বদলে কপালে জুটেছে কারাবাস। খোঁজ নেননি প্রেমিকও। অবশেষে দুই দেশের প্রশাসনের সহযোগীতায় ভারতে ফিরলেন তরুণী।
প্রায় বছর দুয়েক আগে পিসির বাড়িতে ঘুরতে গিয়ে বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জের এক যুবকের প্রেমে পড়েন প্রিয়াঙ্কা নস্কর। তরুণ স্বপ্ন দেখায় ‘সোনার বাংলায়’ সংসার বাঁধবেন। একটি কাপড়ের কারখানায় তাঁকে চাকরি করিয়ে দেওয়া হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। স্বামী-স্ত্রীতে নুন-ভাতে খেয়ে ভরা সংসারের স্বপ্ন দেখেছিলেন তরুণী। বিজিবি সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২২ সালে ৩রা অক্টোবর ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে আসেন প্রিয়াঙ্কা। তার পর দালালের মাধ্যমে সীমান্ত পার হন। বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষী বাহিনী আটক করে তাঁকে। ঠিকানা হয় কারাগার।
অভিযোগ, এই সময়ে তরুণীর প্রেমিক একবারও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। দুবছরের কারা ভোগের পর দু দেশের ফ্ল্যাগ মিটিংয়ের পর প্রিয়াঙ্কাকে বাংলাদেশের কারাগার থেকে ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। চুয়াডাঙ্গার দর্শনা চেকপোস্টের সীমান্ত দিয়ে ভারতের গেদে সীমান্তে প্রবেশ করেন প্রিয়াঙ্কা। এই গোটা পর্বে তাঁদের সাহায্য করেছে একটি এনজিও। সেই সংস্থার কর্মী চিত্তরঞ্জন বলেন, “অল্প বয়সে এইরকম ভুল করার আগে মেয়েদের দ্বিতীয় বার ভাবা উচিত। অভিভাবকদেরও আরও সচেতন হতে হবে।” মেয়েকে অক্ষত অবস্থায় ফিরে পেয়ে খুশির হাওয়া পরিবারে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.