রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: বৃহস্পতিবার শেষবার ফোনে মেয়ের সঙ্গে কথা হয়েছিল বাবার। তারপরই শ্বশুরবাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় মেয়ে। শেষমেশ বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ি থেকে কিছুদূরে খড়ের গাদায় বধূর গলাকাটা দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম মৌমিতা মাইতি দাস (২৩)। মৃতার বাড়ি খেজুরি থানার কামারদা গ্রামে। বৃহস্পতিবার সন্ধেয় গ্রামে বধূর গলাকাটা দেহ উদ্ধার ঘিরে ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায়। খেজুরি থানার পুলিশ এসে মৃতার স্বামী অপরেশ দাস, শ্বশুর তরুণ দাস ও শাশুড়িকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গৃহবধূকে ধারালো কোনও অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে খুন করা হয়েছে। দেড় বছর আগে পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগর থানার জুখিয়া গ্রামের বাসিন্দা মৌমিতার সঙ্গে খেজুরি থানার কামারদা গ্রামের বাসিন্দা অপরেশ দাসের বিয়ে হয়েছিল। পুলিশের অনুমান, পণের পাশাপাশি কোনও সন্তান না হওয়ায় শ্বশুরবাড়িতে ওই বধূকে নিয়মিত গঞ্জনা সহ্য করতে হত। মৃতার বাবা রাজেশ্বর মাইতি বলেন, “বৃহস্পতিবার সন্ধেয় শেষবারের মতো মেয়ের সঙ্গে কথা হয়েছিল। রাতের দিকে জামাই ফোনে জানায় যে, মেয়ে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়েছে। এরপর জামাই খেজুরি থানায় নিখোঁজের ডায়েরি করে। মেয়ের শ্বশুরবাড়ি গিয়ে তাদের সঙ্গে রাতে খোঁজ করতে করতেই খড়ের গাদায় মেয়ের রক্তাক্ত দেহ দেখতে পাই।” খেজুরি থানার ওসি কৃষ্ণেন্দু প্রধান বলেন, “এই ঘটনায় মৃতার শ্বশুরবাড়ির তিনজনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.