ধীমান রায়, কাটোয়া: ভিন ধর্মে বিয়ে। পরিবারের সম্পর্ক মেনে না নেওয়ায় মাস দুয়েক বাইরে বাইরেই কাটাচ্ছিলেন নবদম্পতি। পরবর্তীতে স্বামীর সঙ্গে শ্বশুরবাড়িতে যান বধূ। তবে ঠাঁই হয়নি, ফিরতে হয়েছিল একাই। সেই থেকে বন্ধ দু’জনের যোগাযোগ। স্বামীকে ফিরে পেতে এবার ভাতারের কালাপাহাড়িতে শ্বশুরবাড়ির সামনে ধরনায় বসলেন নববধূ। তাঁদের ছেলেকে চাকরির টোপ দিয়ে ফাঁসিয়েছে ওই তরুনী, দাবি যুবকের বাবা-মায়ের।
ফিরোজা খান(দে) নামে ওই বধূর বাপেরবাড়ি কলকাতার (Kolkata) গড়িয়াহাট এলাকায়। তিনি জানান, প্রায় দশমাস আগে ফেসবুকে কালিপাহাড়ি গ্রামের কৃষাণুর সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। ধীরে ধীরে ফোনে কথা শুরু হয়। প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাঁদের মধ্যে। ফিরোজার দাবি, মাসদুয়েক আগে কালীঘাট মন্দিরে গিয়ে হিন্দু মতে কৃষাণুর সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। কিন্তু দুই পরিবারের পক্ষ থেকেই আপত্তি থাকায় তাঁরা ভাড়াবাড়িতে সংসার পাতেন। এরপর মায়ের জন্য মনখারাপ করায় স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়েই ৩১ ডিসেম্বর বাড়ি ফেরেন কৃষাণু। সেদিনও শ্বশুরবাড়িতে প্রবেশের অনুমতি পাননি ফিরোজা। বাধ্য হয়ে একাই কলকাতায় ফেরেন তিনি। কিন্তু এরপর আর স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি ওই তরুণী। অভিযোগ, তাঁর স্বামীকে জোর করে আটকে রাখা হয়েছে।
স্বামীর কোনও হদিশ না মেলায় সোমবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ কালিপাহাড়ি গ্রামে হাজির হন ফিরোজা। কৃষাণুর বাড়ির সামনে ধরনায় বসেন তিনি। দাবি করেন তাঁর স্বামীকে ফিরিয়ে দেওয়ার। এপ্রসঙ্গে কৃষাণুর বাবা চন্দ্রশেখর দে বলেন, “আমার ছেলে বাড়ির অমতে ও বাড়িতে না জানিয়ে বিয়ে করেছে। আমরা এই বিয়ে মানি না। আমার ছেলে প্রাপ্তবয়স্ক। তাঁকে বাধা দিতেও চাই না। তবে ছেলেকে বলেছি বাড়িতে জায়গা হবে না। সে কোথায় গিয়েছে আমার জানা নেই।” তাঁদের অভিযোগ, ভাল চাকরি দেওয়ার টোপ দিয়ে ডেকে নিয়ে গিয়ে কৃষাণুকে বিয়ে করেছেন ওই তরুণী। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ফিরোজাকে অভিযোগ দায়েরের পরামর্শ দিয়েছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.