শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: ধূপগুড়ির অনন্ত প্রেমিকাকে ফিরে পেতে প্রথম ধরনায় বসেছিলেন। তাঁর অদম্য জেদ আর ভালবাসার কাছে হার মানতে বাধ্য হয়েছিলেন লিপিকা। অবশেষে চার হাত এক হয়েছিল। তারপর হারানো ভালবাসা, অধিকার ফিরে পেতে অনেকেই অনন্তর পথে হেঁটেছেন। ধরনায় বসেছেন প্রেমিক-প্রেমিকার দুয়ারে। কিন্তু সবাই যে বরফ গলাতে পেরেছেন তেমনটা নয়। তবে ৪৮ ঘণ্টা ধরনার পর ভালবাসা জিতে নিলেন ধূপগুড়ির এক তরুণী।
দীর্ঘদিনের সম্পর্ক জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ধূপগুড়ির সমীর সাহা ও অঞ্জনা রায়ের। কিন্তু যে কোনও কারণেই হোক তা ভাঙতে বসেছিল। প্রেমিকার সঙ্গ ত্যাগ করতে চেয়েছিলেন সমীর। সেই কারণেই ২ দিন আগে ধূপগুড়ির ৪ নম্বর ওয়ার্ডে প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধরনায় বসেন খট্টিমারীর অঞ্জনা। তা নিয়ে দীর্ঘক্ষণ টানাপোড়েন চলে। কখনও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। কখনও আবার সমস্যা মেটাতে বৈঠকে বসেন প্রশাসনিক কর্তারা। এভাবেই পেরিয়ে যায় প্রায় দু’দিন। এরপর রবিবার সকাল থেকে ফের দফায় দফায় বৈঠক হয়। অবশেষে বিয়েতে সম্মতি দেয় সমীর। এলাকার কয়েক হাজার মানুষের মানুষের সামনেই মালাবদল সারে যুগল। সিঁদুর দানের মাধ্যমে সম্পন্ন হয় বিবাহ।
৪৮ ঘণ্টা লড়াইয়ের পর প্রেমিককে স্বামী হিসেবে পেয়ে খুশি অঞ্জনা। নবদম্পতিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে গোটা এলাকা। এদিন অঞ্জনা-সমীরে এতটাই মগ্ন ছিলেন স্থানীয়রা যে সামাজিক দূরত্ব পালন করতে দেখা যায়নি কাউকেই। উলটে রীতিমতো ভিড় করেই প্রেমিক যুগলের ভালবাসার পরিণতি দেখতে ব্যস্ত ছিলেন সকলে। \
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.