Advertisement
Advertisement

Breaking News

TMC

সরকারি সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার নামে ‘ধর্ষণ’, সাদা কাগজে সই করিয়ে রেজিস্ট্রি বিয়ে! কাঠগড়ায় TMC নেতা

হাঁসখালি থানায় দায়ের অভিযোগ।

A woman of Nadia allegedly raped by a tmc leader | Sangbad Pratidin

ছবি: প্রতীকী।

Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:May 24, 2022 3:58 pm
  • Updated:May 24, 2022 4:59 pm  

বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: ফের নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ তৃণমূল (TMC) নেতার বিরুদ্ধে। অভিযোগ, সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে একাধিকবার নির্যাতিতাকে ধর্ষণ (Rape) করে পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রামের প্রাক্তন এক তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি। অভিযুক্তের নাম রত্নাকর দে। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

বছর পঁচিশের ওই মহিলার অভিযোগ, দারিদ্র্যের কারণে সরকারি প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রাম ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস তৎকালীন সভাপতি রত্নাকর দে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে বলেন। এবং সেই সময় নাবালিকা ছিলেন অভিযোগকারিনী। অভিযোগ, তখন সাহায্যের নাম করে কেতুগ্রাম পুরনো বাজারের কাছে ভাড়া বাড়িতে, কখনও কাটোয়ায় লজে তাঁকে ডেকে পাঠায় ওই তৃণমূল নেতা। সেখানে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয় তাঁকে। বিষয়টি কাউকে জানালে তিনি নির্যাতিতা ও তার পরিবারের সদস্যদের খুন করার দেওয়ার হুমকিও দেন। ওই তৃণমূল নেতার প্রভাব-প্রতিপত্তির কথা ভেবে ভয়ে এবং লোকলজ্জায় কোথাও অভিযোগ করেননি তরুণী।

Advertisement

[আরও পড়ুন: SSC দুর্নীতির জের, সরকারি শিক্ষককে বিদায় প্রেমিকার! সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল মিম]

তবে এখানেই শেষ নয়। নির্যাতিতার আরও অভিযোগ, রত্নাকর দে নিজেকে বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের আস্থাভাজন ও অতি কাছের লোক বলে পরিচয় দিতেন। তাই প্রশাসনের কাছে তার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ করে লাভ হবে না বলেও হুমকি দেওয়া হত। অভিযোগ, অভিযোগকারীকে জোর করে একাধিক সাদা কাগজে ও স্ট্যাম্প পেপারে সই করিয়ে নেয় ওই তৃণমূল নেতা। পরে স্থানীয় একটি লজে তাকে বউ সাজিয়ে সেই ছবিও তুলে রাখে। পরে তরুণীকে স্ত্রী বলে দাবি করে। নির্যাতিতার কথায়, ওই তৃণমূল নেতা প্রভাব খাটিয়ে সাদা কাগজের সই কাজে লাগিয়ে রেজিস্ট্রি বিবাহ করে রেখেছে। যাতে কখনও ধর্ষণের অভিযোগ করতে না পারেন।

সম্প্রতি ওই তৃণমূল নেতার অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে, তার হাত থেকে বাঁচার জন্য কেতুগ্রাম থেকে ওই মহিলা ও তাঁর বাবা-মা পালিয়ে চলে আসেন নদিয়ার হাঁসখালি থানা এলাকায়। সেখানেও গত ২২ মে-র সন্ধেয় দু’জন অপরিচিত ব্যক্তি ওই হাঁসখালি থানা এলাকার কেতুগ্রাম ফিরে যাওয়ার জন্য হুমকি দেয়। তাই বাধ্য হয়ে তিনি নদিয়ার হাঁসখালি থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। তবে এবিষয়ে অভিযুক্তকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

[আরও পড়ুন: পার্থ-পরেশ-অনুব্রতর সম্পত্তি কত? খতিয়ান চেয়ে আয়কর দপ্তরকে চিঠি পাঠাল সিবিআই]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement