ধীমান রায়, কাটোয়া: স্ত্রীকে খুনের পর প্রমাণ লোপাটে দেহ মেঝেয় পুঁতে ফেলার ছক কষেছিল স্বামী। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। ঘর থেকে উদ্ধার বধূর প্লাস্টিক মোড়া দেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল শোরগোল পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে। ইতিমধ্যই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, মৃতার নাম লক্ষ্মী হাঁসদা। তাঁর স্বামী সোম হাঁসদা। পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে দুই মেয়েকে নিয়ে থাকতেন ওই দম্পতি। পাশেই থাকতেন সোমের মা, ভাই ও তাঁদের পরিবার। সূত্রের খবর, সোমবার বিকেলে শেষবারের মতো লক্ষ্মীকে দেখতে পান সোমের মা। মঙ্গলবার তাঁর দেখা মেলেনি। এদিকে নাতনিরা সোমবার রাতেই তাঁর কাছে গিয়ে জানিয়েছিল, বাবা নাকি মাকে মারধর করছে। এতেই সন্দেহ হয় বৃদ্ধার। এরপর অন্য ছেলেদের বিষয়টা জানান তিনি। তারপর সোমের ভাইয়েরা ঘরে ঢোকার চেষ্টা করলেও লাভ হয়নি বলে খবর। একপর্যায়ে লক্ষ্মীর বাপের বাড়িতে খবর দেন তাঁরা।
সূত্রের খবর, লক্ষ্মীর মা থানায় খবর দেন। পুলিশ যায় সোমের বাড়িতে। তখনই দেখা যায়, ভয়ংকর দৃশ্য। পুলিশ আধিকারিকরা দেখেন, ঘরের মেঝেয় গর্ত করা। সেখানে প্লাস্টিকে মুড়ে রাখা লক্ষ্মীর দেহ। ইতিমধ্যেই দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে সোমকে। কিন্তু কেন এই নৃশংসতা? পরিবার সূত্রে খবর, দিনভর মদ্যপান করত সোম। তা নিয়ে দাম্পত্য কলহ লেগেই থাকত। তবে কী সেই অশান্তির জেরেই খুন? নাকি নেপথ্যে অন্যরহস্য, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। অনুমান, দেহ মেঝেয় পুঁতে দিত সোম। কিন্তু ঘটনাচক্রে তার আগেই ধরা পড়ে যায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.