রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে না বলে জিনিস নিয়ে চলে আসার বদভ্যাস ছিল মেয়ের। মা ও মেয়েকে চোর বলে কটুক্তি করতেন পাড়ার লোকেরা। সেই টিপ্পনি সহ্যের সীমা ছাড়িয়েছিল। তাই নিজের একমাত্র মেয়েকে খুন করে নয়ানজুলিতে ফেলে দিল মা! ঘটনায় শোরগোল পড়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
[রাজ্যে মাও গতিবিধি প্রায় উধাও, এবার ঝাড়খণ্ডে অভিযানে নামছে পুলিশ]
কাঁথির ভগবানপুর ব্লকের বৃন্দাবনপুরের বাসিন্দা প্রশান্ত কামিলা। কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন তিনি। গ্রামে বাড়িতে একমাত্র মেয়ে দীপালিকে নিয়ে থাকেন স্ত্রী যমুনা। কিন্তু, ইদানিং মেয়ের বদভ্যাসের কারণে রীতিমতো বিব্রত হতে হচ্ছিল তাকে। প্রতিবেশীরা মা ও মেয়েকে চোর বলে কটুক্তি করতেন। কারণ, প্রতিবেশিদের বাড়ি থেকে না বলে জিনিস নিয়ে চলে আসত দীপালি। দিনের পর দিন এই চোর অপবাদ সহ্য করতে পারেনি যমুনা। অভিযোগ, নিজের একমাত্র মেয়েকে খুন করে নয়ানজুলিতে ফেলে দিয়েছে সে। পুলিশ জানিয়েছে, স্বামীকে ফোন করে যমুনা বলে, মেয়ে দীপালীকে নিয়ে ওড়িশার চন্দনেশ্বরে মন্দিরে পুজো গিয়েছিল সে। কিন্তু, দীপালির কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। মেয়ের নিখোঁজের খবর পেয়ে দ্রুত চন্দনেশ্বরে পৌঁছে যান প্রশান্ত। মেয়েকে খোঁজাখুঁজিও করেন। শেষপর্যন্ত, কোনও সন্ধান না পেয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগর থানায় দীপালির নামে নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। তদন্তে নামে পুলিশ।
[কুয়াশা কাড়ল প্রাণ, মুর্শিদাবাদে নয়ানজুলিতে বাস উলটে মৃত অন্তত ৮]
এদিকে শুক্রবার সকালে পূর্ব মেদিনীপুরের হেঁড়িয়ার কাছে নয়ানজুলিতে একটি মেয়ের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর দেওয়া হয় থানায়। মৃতদেহটি উদ্ধার করে, প্রশান্ত ও তাঁর স্ত্রীকে খবর দেয় পুলিশ। স্থানীয় ভূপতি নগর থানায় গিয়ে মেয়ের মৃতদেহ শনাক্ত করেন প্রশান্ত। পুলিশের দাবি, জেরায় মেয়েকে খুন করার স্বীকার করেছে যমুনা। তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদিকে, এই ঘটনার কথা জানাজানি হতেই এলাকায় তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, শুধুমাত্র চোরের অপবাদে খোচাতে নয়, এই ঘটনার পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে। সঠিক তদন্তের দাবি তুলেছেন তাঁরা।
[সরস্বতী পুজোয় ব্যাপক বিক্রি, আপেল কুল ফলিয়ে স্বনির্ভর ক্ষীরগ্রাম]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.