ছবি: প্রতীকী।
সম্যক খান, মেদিনীপুর: ধারালো অস্ত্রের আঘাতে স্ত্রীকে খুন ও সন্তানকে খুনের চেষ্টার পর আত্মঘাতী যুবক। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা রোডের বিহারিশোল গ্রামে। খবর পেয়ে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। কিন্তু কী কারণে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড? সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনও তথ্য এখনও মেলেনি।
আদতে শালবনির কুসুমডাঙা এলাকার বাসিন্দা কাঞ্চন হেমব্রম নামে বছর আঠাশের ওই যুবক। স্ত্রী মালতি ও বছর তিনেকের সন্তান পুজাকে নিয়ে কয়েকদিন আগেই বিহারিশোলে শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছিলেন ওই যুবক। জানা গিয়েছে, সোমবার ভোররাতে তাঁদের ঘর থেকে চিৎকারের শব্দ শুনতে পান স্থানীয়রা। স্বামী-স্ত্রীর অশান্তি ভেবে কেউ খুব একটা গুরুত্ব দেননি বিষয়টিকে। এরপরই শুনতে পান আর্তনাদ। ছুটে গিয়ে প্রতিবেশীরা দেখতে পান রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে কাঞ্চন ও মালতির দেহ। একাধিক আঘাতের চিহ্ন পুজার গায়েও। তবে প্রাণ তখনও রয়েছে খুদের।
তড়িঘড়ি খুদেকে উদ্ধার করে পাঠানো হয় মেদিনীপুর মেডিক্যালে। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসা চলছে তাঁর। খবর পেয়ে ইতিমধ্যেই দেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, পারিবারিক অশান্তির কারণেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীকে খুনে পর সন্তানকেও খুনের চেষ্টা করে অভিযুক্ত। এরপর আত্মঘাতী হয় নিজে। স্থানীয়দের কথায়, অভিযুক্ত কাঞ্চনের মানসিক সমস্যা ছিল। তাই দম্পতির মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকত। সেই অশান্তির জেরেই এই কাণ্ড।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.