Advertisement
Advertisement

Breaking News

Swasthya sathi

কথা রাখেনি বিজেপি! স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে অস্ত্রোপচার করে সুস্থতার পথে হুগলির শ্রমিকের স্ত্রী

অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেই দাবি বিজেপির।

A woman from Hooghly cured with the help of health card | Sangbad Pratidin
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:February 11, 2021 10:25 pm
  • Updated:February 11, 2021 10:25 pm  

দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: কিছুদিন আগেই গোন্দলপাড়া জুট মিলের শ্রমিক পি আনন্দের বাড়িতে গিয়েছিলেন বিজেপি নেতা-নেত্রীরা। আশ্বাস দিয়েছিলেন পাশে থাকার। কিন্তু আদতে তেমনটা হল না বলেই দাবি জুটমিল শ্রমিকের। তবে রাজ্য সরকারকে পাশে পেয়েছেন তিনি।

মাস দুয়েক আগে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে হুগলি গিয়ে চন্দননগর গোন্দলপাড়ার জুট মিল শ্রমিক পি আনন্দ রাওয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন বিজেপি নেতা নেত্রীরা। সেখানে দুপুরের খাওয়া দাওয়া করেছিলেন বিজেপির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, রাজ্য নেতা দীপাঞ্জন গুহরা। জুট মিল শ্রমিকের স্ত্রী পি লতা রাও বিজেপি নেতা নেত্রীদের সঙ্গে হাসি মুখে ছবিও তুলেছিলেন। দুপুরের আহার শেষে ওই জুট মিল শ্রমিকের পরিবারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সাংসদ ও বিজেপি নেতা-নেত্রীরা। কিন্তু বিপদে তাঁদের পাশে পেলেন না ওই শ্রমিক।

Advertisement

[আরও পড়ুন: দেদার চুরি যাচ্ছে নতুন রেললাইন তৈরির সামগ্রী, কাজের গতি মন্থর হওয়ায় ক্ষোভ নানা মহলে]

সম্প্রতি পি আনন্দের স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন। চিকিৎসকদের কাছে গেলে জানা যায়, তাঁর পেটে টিউমার। ডাক্তাররা জানান, দ্রুত অস্ত্রোপচার করা না হলে প্রাণ সংশয় হতে পারে। কিন্তু এত টাকা কোথায় পাবেন তা বুঝে উঠতে পারছিলেন না তিনি। বিজেপির দেওয়া প্রতিশ্রুতির কথা মাথায় রেখে স্থানীয় বিজেপি নেতাদের দ্বারস্থ হন আনন্দ রাও। অভিযোগ, কোনওরকম সাহায্য তো দূরের কথা মুখের উপর সকলেই না করে দিয়েছেন। কেউ কেউ আবার দেখছি বলে এড়িয়ে গিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডেই স্ত্রীর অপারেশন করান তিনি। বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন ওই বধূ।

জুট মিল শ্রমিক আনন্দ বলন, “আমার বাড়িতে সাংসদ ও অন্যান্য নেতারা দুপুরে খেয়েছেন। প্রতিশ্রুতি দিয়ে গিয়েছিলেন সমস্ত রকম বিপদে আপদে পাশে থাকবেন। তাই স্ত্রীর টিউমার ধরা পড়ার পর স্থানীয় বিজেপি নেতানেত্রীদের কাছে সাহায্যের জন্য ছুটে যাই। কোনওরকম সাহায্য তো মেলেনি। সাংসদের সঙ্গে যোগযোগ করতেই পারিনি। এরপর স্থানীয়দের পরামর্শে ভদ্রেশ্বরের পুর প্রশাসক প্রকাশ গোস্বামীকে বিষয়টি জানাই। তিনি তড়িঘড়ি স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে ব্যবস্থা করেন। কার্ড হাতে পাওয়ার পর আনন্দ স্ত্রীকে লতাকে ভদ্রেশ্বর পুরসভা পরিচালিত অঙ্কুর হাসপাতালে ভরতি করি।” ওই হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডেই ৯ ফেব্রুয়ারি লতার অপারেশান হয়। বৃহস্পতিবার হাসপাতালের বেডে শুয়ে লতা দেবী বলেন, “বিজেপি নয়। তৃণমূলের চেষ্টায় আজ স্বাস্থ্যসাথী কার্ড হয়েছে। তাই সুস্থ হয়েছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চিরকৃতজ্ঞ থাকব।” স্ত্রীর সঙ্গে একমত আনন্দও। এবিষয়ে পুর প্রশাসক প্রকাশ গোস্বামী বলেন, “বিজেপি বাইরে থেকে কিছু লোক এনে সাধারণ মানুষের বাড়িতে খাওয়া দাওয়া করে লোককে দেখাচ্ছে তাঁরা মানুষের অনেক কাছে রয়েছে। কাজ মিটে গেলে ওরা ফিরেও তাকান না। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের কর্মীরা সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে থাকেন।” যদিও অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেই দাবি বিজেপির।

[আরও পড়ুন: দুর্নীতির অভিযোগ, মেদিনীপুরের বিজেপি জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে পোস্টারে ছয়লাপ এলাকা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement