ছবি: প্রতীকী
দেবব্রত মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ফের পণের বলি বধূ। পণের দাবিতে স্ত্রীকে পুড়িয়ে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে।মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বনহুগলিতে। জানা গিয়েছে, ২৩ এপ্রিল দগ্ধ অবস্থায় মহিলাকে এম আর বাঙুর হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল। রবিবার সেখানে মৃত্যু হল মহিলার।
জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরের নেপালগঞ্জের বাসিন্দা সন্তোষী প্রামাণিক। প্রায় সাত বছর আগে সন্তোষীর সঙ্গে বিয়ে হয় বনহুগলির বাসিন্দা উত্তম প্রামাণিকের। সূত্রের খবর, বিয়ের সময় সন্তোষীর বাপের বাড়ির তরফে প্রচুর আসবাবপত্রও দেওয়া হয়। অভিযোগ, সেই সব সামগ্রী পুরনো হতেই পণের জন্য স্ত্রীর উপর চাপ প্রয়োগ করতে শুরু করেন অভিযুক্ত উত্তম ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। সূত্রের খবর, এই নিয়ে প্রতিদিনই অশান্তি লেগে থাকত ওই দম্পতির মধ্যে। মৃতার পরিবারের সদস্যদের দাবি, এরপর ২৩ এপ্রিল তাঁদের জানানো হয় আগুনে দগ্ধ হয়েছেন সন্তোষী। বাপেরবাড়ির সদস্যরা তাঁকে উদ্ধার করে এম আর বাঙুর হাসপাতালে ভরতি করে। রবিবার সেখানেই মৃত্যু হয় ওই মহিলার।
জানা গিয়েছে, ২৩ এপ্রিল রাতে উত্তম-সন্তোষীর বচসা চরমে ওঠে। অভিযোগ, সেই সময় রাগের বশে স্ত্রীর গায়ে আগুন জ্বালিয়ে দেয় উত্তম ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। ঘটনাস্থলেই ছিল তাঁদের বছর ছয়েকের সন্তান। চোখের সামনেই মাকে দাউদাউ করে জ্বলতে দেখে সে। প্রাণ বাঁচাতে বেশ কিছুক্ষণ ঘরের ভিতর ছোটাছুটি করতে থাকেন মহিলা। এরপর বাড়ির পাশের একটি পুকুরে ঝাঁপ দেন সন্তোষী। কিন্তু ততক্ষণে অনেকাংশ পুড়ে গিয়েছে তাঁর। এরপরই তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল। রবিবার সেখানে তাঁর মৃত্যুর পর পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই মৃতার বাপের বাড়ির তরফে অভিযুক্ত উত্তমের বিরুদ্ধে নরেন্দ্রপুর থানার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এখনও পলাতক অভিযুক্তরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.