ছবি: প্রতীকী।
ধীমান রায়, কাটোয়া: চিকিৎসককে দেখাতে যাওয়ার অছিলায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন৷ খোঁজ না মেলায় স্বামী আশঙ্কা করেছিলেন, হয়তো অপহরণ করা হয়েছে স্ত্রীকে৷ কিন্তু তিন মাসের মধ্যেই হুগলির চণ্ডীতলা থেকে উদ্ধার করা হয় ওই মহিলাকে৷ কাটোয়া আদালতে তোলা হলে এজলাসে দাঁড়িয়ে অপহরণের তত্ত্ব ওড়ালেন তিনি৷ পরিবর্তে ভাসুরের ছেলের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই স্বামী-সন্তানকে ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন বলেই স্বীকার করে নিলেন মহিলা৷ উত্তর শুনে হতবাক স্ত্রী’র জন্য অপেক্ষারত স্বামী৷
গত ১৩ এপ্রিল চাণ্ডুলী গ্রামের বাসিন্দা পাপিয়া কাটোয়ায় ডাক্তার দেখাতে যাচ্ছেন বলে বেরোন৷ তারপর আর বাড়ি ফেরেননি। বাড়ি না ফেরায় মহিলার স্বামী আত্মীয়দের বাড়িতে খোঁজখবর নেন। কাটোয়া থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরিও করা হয়েছিল। ওই ঘটনার পর গত ১০ জুন মহিলার স্বামী তাঁর ভাইপো সৌদীপ ঘোষ, তার বাবা, মা এবং মামার বিরুদ্ধে কাটোয়া আদালতে স্ত্রীকে অপহরণের মামলা করেন। আদালত ওই ঘটনায় কাটোয়া থানাকে তদন্তের নির্দেশ দেয়।
তদন্তে নেমে শুক্রবার রাতে হুগলির চণ্ডীতলা থেকে ওই মহিলা ও তাঁর ভাসুরের ছেলে সৌদীপকে উদ্ধার করে পুলিশ। সৌদীপকে গ্রেপ্তারও করা হয়৷ গোপন জবানবন্দি নিতে মহিলাকে আদালতে পাঠানো হয়৷ সূত্রের খবর, আদালতে মহিলা জানিয়ে দেন তিনি স্বেচ্ছায় সৌদীপের সঙ্গে ঘর ছেড়েছেন৷ আর শ্বশুরবাড়ি যেতে চান না। প্রেমিকের সঙ্গেই থাকতে চান। এদিন আদালত সৌদীপকে জামিনে মুক্তি দেয়।
মহিলার স্বামী মহাদেবের জেঠতুতো দাদা বাসুদেব ঘোষের ছেলে সৌদীপ। একই এলাকায় বাস তাঁদের৷ প্রায় দু’বছর ধরেই সৌদীপের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন মহিলা। এদিন কাটোয়া আদালতে ৬ বছরের ছেলেকে নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন মহিলার স্বামী। ছাড়া পেলেই স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ঘরে ফেরার অপেক্ষায় ছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘ছেলের মুখের দিকে তাকিয়ে আমি সব ভুলে স্ত্রীকে মেনে নিতেও চেয়েছিলাম। কিন্তু ও এখন মোহে পড়ে গিয়েছে।” জেঠতুতো দাদার সঙ্গে মাকে চলে যেতে দেখে বাবার কোলে বসে কাঁদতে থাকে বছর ছয়েকের সন্তানও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.