জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: বাড়ির পাশে জড়ো করে রাখা পাটকাঠির স্তূপ থেকে উদ্ধার হল গৃহবধূ এবং প্রতিবেশী এক যুবকের অগ্নিদগ্ধ দেহ। উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ থানার মণিগ্রাম শিবপুর বটতলার ঘটনায় একাধিক প্রশ্নের ভিড়। দু’জনের মৃত্যুর কারণ নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। একসঙ্গে পাটকাঠির স্তূপে কী করছিলেন দু’জনে, তা নিয়েও ধন্দে পুলিশ। খুন নাকি আত্মহত্যা করেছেন তাঁরা, খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
স্থানীয়দের দাবি, মঙ্গলবার রাত আড়াইটে নাগাদ তপতী মণ্ডল নামে বছর বিয়াল্লিশের ওই গৃহবধূর বাড়ির সামনের পাটকাঠির গাদায় দাউদাউ করে আগুন জ্বলতে থাকে। শীতের রাতে প্রথমে কিছুই বুঝতে পারেননি প্রতিবেশীরা। বেশ কিছুটা সময় চলে যাওয়ার পর তাঁরা বুঝতে পারেন বাড়ির পাশে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন তাঁরা। খবর দেওয়া হয় দমকলে। খবর পাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই দমকলের বেশ কয়েকটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। প্রায় ৩০-৪০ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নেভান দমকল কর্মীরা। আগুন নেভানোর পরই তাঁরা দেখেন ওই পাটকাঠির স্তূপের মধ্যে পড়ে রয়েছে তপতী মণ্ডল নামে ওই গৃহবধূ এবং প্রতিবেশী যুবক প্রসেনজিৎ বৈদ্যর দেহ। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা। ঘটনার খবর পেয়ে বনগাঁ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। দু’জনের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
তবে গৃহবধূ এবং তাঁর প্রতিবেশী যুবকের মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধন্দে তদন্তকারীরা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, খুন করা হয়েছে তাঁদের। তবে কী কারণে খুন করা হল দু’জনকে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই যুবকের পরিবারের দাবি, গৃহবধূ তপতীর সঙ্গে প্রতিবেশী যুবক প্রসেনজিতের সম্পর্ক ভালই ছিল। দু’জনের মধ্যে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক আদৌ তৈরি হয়েছিল কী না, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ঘটনার কিনারায় নিহত দু’জনের পরিজনদের সঙ্গে কথা বলছে তদন্তকারীরা। দু’জনের সম্পর্ক খতিয়ে দেখতে প্রয়োজনে প্রতিবেশীদের সঙ্গেও কথা বলতে পারে বনগাঁ থানার পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.