Advertisement
Advertisement

Breaking News

মনুয়া কাণ্ডের ছায়া এবার তেহট্টে, যুবককে নৃশংস ভাবে খুন করল স্ত্রী

ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল তেহট্টের দাসপাড়া এলাকায়৷

A woman allegedly murdered husband in Nadia's Tehatta
Published by: Tanujit Das
  • Posted:August 17, 2019 4:57 pm
  • Updated:August 17, 2019 5:38 pm  

পলাশ পাত্র, তেহট্ট: মনুয়া কাণ্ডের ছায়া এবার তেহট্টের তেহট্টের কালীগঞ্জ থানার অন্তর্গত শেরপুরের দাসপাড়া এলাকায়৷ এক যুবকের সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্কে জেরে স্বামীকে নৃশংস ভাবে খুন করল এক মহিলা৷ মৃত যুবকের নাম তপন দাস, বয়স ৪৫৷ ইতিমধ্যে অভিযুক্ত স্ত্রী শিখা দাসকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷ আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার সকাল থেকে চাঞ্চল্য ছড়াল 

[ আরও পড়ুন: রেললাইন দিয়ে যাওয়ার সময় ধাক্কা মারল ট্রেন, জলপাইগুড়িতে মৃত ১]

Advertisement

জানা গিয়েছে, ২৫ বছর আগে মুর্শিদাবাদের রেজিনগরের শিখা দাসকে বিয়ে করেন তেহট্টের শেরপুরের বাসিন্দা তপন দাস৷ কিন্তু পানের ব্যবসাদার তপনের সঙ্গে, প্রথম থেকেই অশান্তি লেগে থাকত শিখার৷ তাদের তিন মেয়ে হলেও স্বামী-স্ত্রী’র অশান্তি কমেনি৷ একটা সময় পর মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন তপন৷ রোজ রাতে হাই ডোজের ঘুমের ওষুধ খেতেন৷ স্ত্রী’র উপর অকথ্য অত্যাচার চালাতেন৷ মারধর করতেন তিনি৷ যুগলের অশান্তিতে নাজেহাল অবস্থা ছিল প্রতিবেশীদের৷ পুলিশকে দেওয়া বয়ানে শিখা জানিয়েছে, শুক্রবার রাতেও তাকে মারধর করে তপন৷ কিন্তু দিনের পর দিন স্বামীর হাতে মার খেতে খেতে, ওইদিন সহ্যের বাধ ভেঙে যায় শিখার৷ বেশি করে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে, গলায় দড়ি পেঁচিয়ে তপনকে খুন করে সে৷

[ আরও পড়ুন: ফুচকা নিয়ে বচসার জেরে গলার নলি কেটে খুন যুবক, বিষ্ণুপুরের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ ]

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শনিবার সকাল থেকে প্রথমে সব স্বাভাবিক থাকলেও, সাড়ে দশটা নাগাদ হঠাৎই হাউমাউ করে কান্নাকাটি শুরু করে শিখা৷ বলতে থাকে, তার স্বামী চোখ খুলছে না৷ ঘরে গিয়ে দেখা যায়, খাটের মধ্যে পড়ে রয়েছেন তপন৷ তবে তাঁর গলায় একটা দড়ি প্যাঁচানোর দাগ দেখে সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের৷ সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় পুলিশে৷ ঘটনাস্থলে এসে প্রাথমিক তদন্তের পর তাঁরা জানান, স্বাভাবিক মৃত্যু নয়, খুন করা হয়েছে তপনকে৷ এরপরই শিখাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করেন তদন্তকারীরা৷ একটু চাপ পড়তেই কেঁদে নিজের দোষ কবুল করে শিখা৷ তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷ খুনের সঙ্গে কোনও পরকীয়ার যোগ রয়েছে কিনা, তদন্তই করেন অফিসাররা৷ আর সেই তদন্তে নেমেই আসল সূত্রের খোঁজ মেলে৷ পুলিশ জানতে পারে, এলাকার এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিল শিখা৷ সেই তার সঙ্গে মাসখানেক আগে তপনের ঝামেলাও হয়৷ খুনের পিছনে সেই যুবকের কোনও হাত রয়েছে কিনা এখন, সেই তদন্তই করচেন অফিসাররা৷  

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement