রাজ কুমার, আলিপুরদুয়ার: স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ উঠল মদ্যপ স্বামীর বিরুদ্ধে। রবিবার সকালে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ারের ১ নম্বর ব্লকের জলদাপাড়া গ্রামে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক মৃতার স্বামী। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সোনাপুর ফাঁড়ির পুলিশ। অভিযুক্তের খোঁজে শুরু হয়েছে তদন্ত।
আলিপুরদুয়ারের ১ নম্বর ব্লকের জলদাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা অনিমা তালুকদার। স্বামী স্বপন তালুকদার ও ছোট মেয়ের সঙ্গে ওই বাড়িতেই থাকতেন অনিমাদেবী। ওই দম্পতির ছেলে কেরলে কর্মরত। কয়েকবছর আগেই তাঁদের বড়মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরেই ওই দম্পতির মধ্যে অশান্তি চলছিল। রবিবার সকালে প্রতিবেশীরা অনিমাদেবীকে ডাকতে গিয়েই চমকে যান। তাঁরা দেখতে পান ঘরের ভিতর মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন অনিমাদেবী। এরপরই খবর দেওয়া হয় সোনাপুর ফাঁড়িতে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আলিপুরদুয়ার হাসপাতালে পাঠায়। স্থানীয়দের কথায়, শনিবার রাতেও অশান্তি শুরু হয়েছিল স্বপন ও অনিমাদেবীর মধ্যে। অভিযোগ, সেই অশান্তির জেরেই স্ত্রীকে খুন করেছে স্বপন। এরপরই চম্পট দিয়েছে অভিযুক্ত। ঘটনার পর দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে গেলেও এখনও খোঁজ মেলেনি অভিযুক্তের।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, শ্বাসরোধ করে অনিমাদেবীকে খুন করা হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত স্বপন খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তদন্তের স্বার্থে মৃতার সন্তান ও প্রতিবেশীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানান তদন্তকারীরা। তবে কী কারণে খুন? পারিবারিক অশান্তি নাকি গোটা ঘটনার পিছনে রয়েছে অন্য কোনও রহস্য? আদৌ কি খুনের পিছনে স্বপনেরই হাত রয়েছে? যদি স্বপনই ঘটনার সঙ্গে জড়িত হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে অন্য কারও মদত রয়েছেকি না, এহেন একাধিক প্রশ্নের উত্তরের সন্ধান করছে পুলিশ আধিকারিকরা।পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই মৃত্যুর আসল কারণ প্রকাশ্যে আসবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.