দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: স্ত্রী বেশিরভাগ সময় ব্যস্ত থাকেন মোবাইল ফোনে। তা নিয়ে সমস্যার জেরেই স্ত্রীকে খুন করে থানায় আত্মসমর্পণ স্বামীর। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে।
বছর ১২ আগে সোনারপুরের শীতলার বাসিন্দার মালা শিকারির সঙ্গে বিয়ে হয় সমীর শিকারির। সমীরের গড়িয়াহাটে ফুটপাতে কাপড়ের ব্যবসা। অন্যদিকে মালা লোনের কাজ করতেন। বিভিন্ন কোম্পানি এবং ব্যাঙ্ক থেকে গ্রাহককে লোন পাইয়ে দেওয়ার জন্য ফোনও করতেন। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন সময় গ্রাহকরাও ফোন করতেন মালাকে। ফলে বেশিরভাগ সময় ফোনে ব্যস্ত থাকতেন মহিলা। এই নিয়েই শুরু হয় সন্দেহ। মারধরের ও অভিযোগ উঠে সমীরের বিরুদ্ধে। বাধ্য হয়ে সমীরের নামে একাধিকবার সোনারপুর থানায় অভিযোগ জানান মালা। সোনারপুর থানার তরফ থেকে স্বামী-স্ত্রীকে আলাদা থাকতে বলে ছমাস।
সোমবার রাতে হঠাৎই শীতলায় শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে উপস্থিত হয় জামাই সমীর। স্ত্রীকে বাইরে ডাকে সে। বেরতেই দুজনের মধ্যে বচসা চরমে ওঠে। সেই সময়ই ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীকে এলোপাথাড়ি কোপায় অভিযুক্ত। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে অস্ত্র দিয়ে কোপায় স্ত্রীকে। এদিকে বেশ কিছুক্ষণ কোনও সাড়াশব্দ না পাওয়ায় অন্য ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন মালাদেবীর বাবা নৃপেন বসু। দেখেন বারান্দায় রক্তে দাগ। কিন্তু মেয়ের কোনও খোঁজ নেই। এদিকে শ্বশুরকে বেরতে দেখে চম্পট দেয় অভিযুক্ত। অবশেষে মেয়েকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
এর পর পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে অভিযুক্ত। প্রথমে বারুইপুর থানায় গেলে তাকে পাঠানো হয় সোনারপুরে। সোনারপুর থানায় আত্মসমর্পণের পর সমীর পুলিশকে জানায় খুনের অস্ত্র একটি পুকুরে ফেলে দিয়েছে সে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সোনারপুর থানার পুলিশ। ইতিমধ্যেই দেহটি ময়না তদন্ত পাঠানো হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.