নন্দন দত্ত, সিউড়ি: ফের রাজ্যে গণধর্ষণ। মাসখানেকের ব্যবধানে বীরভূমের মহম্মদবাজারে আবারও গণধর্ষণের শিকার এক তরুণী। ফোন করে তাঁকে ডেকে পাঠায় প্রেমিক। অভিযোগ, এরপর জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়। প্রেমিক এবং তার তিন বন্ধু রাতভর ওই মহিলার উপর নির্যাতন করে। মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় মোট তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। পলাতক এক অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা এক মহিলার দিনকয়েক আগে ফোনে এক যুবকের সঙ্গে আলাপ হয়। ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়েছিল দু’জনের। তাই ওই মহিলা চেয়েছিলেন যুবকের সঙ্গে দেখা করতে। যুবকও সেই সুযোগ হাতছাড়া করেনি। ফোন করে রবিবার সন্ধেয় মহম্মদবাজারের গণপুরের জঙ্গলে ওই মহিলাকে ডেকে পাঠায় যুবক। তিনি সেই অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময় ওই এলাকায় পৌঁছন। অভিযোগ, এরপর প্রেমিকের বাইকে চড়েন ওই মহিলা। সে সেকেড্ডা এলাকার গণপুর জঙ্গলের পাশে একটি সাবমার্সিবেল ঘরে নিয়ে যায় ওই মহিলাকে। তাঁর দাবি, ওই সাবমার্সিবেল ঘরে সেখানে তাঁকে ওই যুবক প্রথমে ধর্ষণ করে। এরপর একে একে প্রেমিকের বন্ধু মনিরউদ্দিন শেখ, নিজামুদ্দিন শেখ, নীলমাধব মির্ধা রাতভর ওই মহিলার উপর নারকীয় অত্যাচার করে। এরপর জঙ্গলে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। ভোরবেলা হুঁশ ফিরলে পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই মহিলা। তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। সিউড়ি আদালতে গোপন জবানবন্দিও দেন নির্যাতিতা। নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ এই ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। একজন অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
গত বছরের ডিসেম্বরেও গণধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিরোনামে চলে আসে বীরভূমের মহম্মদবাজার। প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করে আদিবাসী নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে তার প্রেমিক-সহ চারজন। মহম্মদবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নাবালিকার পরিজনেরা। অভিযোগ পেয়েই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। এই ঘটনায় মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে আবারও মহম্মদবাজারে গণধর্ষণের ঘটনায় উঠেছে সমালোচনার ঝড়। বারবার একই ধরনের ঘটনায় নারী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। গণধর্ষণের মতো ঘৃণ্য অপরাধ রুখতে কেন বারবার ব্যর্থ হচ্ছে পুলিশ, সেই প্রশ্নও মাথাচাড়া দিচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.