টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: অমিত শাহ (Amit Shah) রাজ্য ছাড়তেই বাঁকুড়ায় বিভীষণ হাঁসদার বাড়িতে হাজির হলেন তৃণমূল (TMC) পরিচালিত বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সদস্যা সোনাই মুখোপাধ্যায়। শনিবার পরিবারটির হাতে চাল, কাপড় ও কিছু আর্থিক সাহায্য তুলে দেন তৃণমূলের ওই নেত্রী। এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে সোনাই দেবী বলছেন, লকডাউন শুরুর প্রথম থেকেই তিনি গরিব ও দুঃস্থ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সহায়তা করছেন। একই কারণে বিভীষণবাবুর বাড়িতেও গিয়েছেন তিনি। এর সঙ্গে তার দলের কোনও সম্পর্ক নেই। এ প্রসঙ্গে বিভীষণবাবু জানিয়েছেন, ওই মহিলা নিজেকে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যা হিসাবে পরিচয় দিয়ে আমার বাড়িতে এসেছিলেন। চাল, কাপড় দিয়ে ছবি তুলে নিয়ে গিয়েছেন।
ওই তৃণমূল নেত্রীর এহেন কর্মকাণ্ডে বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বলেন, ‘‘কেন্দ্র থেকে পাঠানো চাল নিজেদের নামে বিলি করে বেড়াচ্ছে তৃণমূল। অমিত শাহ আসার আগে কেন পরিবারটির কথা মনে পড়েনি তাদের?” বিজেপি নেতাদের কথায়, “বৃহস্পতিবার বাঁকুড়া সফরে এই বিভীষণ হাঁসদার বাড়িতেই মধ্যাহ্নভোজ সেরেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শনিবারই হাঁসদা পরিবারকে কাপড়, চাল ও কিছু আর্থিক সাহায্য করলেন তৃণমূল নেতারা। গরিব মানুষ চাল-ডাল পেলে তো ভাল কথা। পরের বার শাহ এলে আরও বেশি বাড়িতে যেতে বলব।”
বিভীষণ হাঁসদার বাড়ি তৃণমূলের সফর ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। তৃণমূলের দাবি, পশ্চিমবঙ্গের মানুষ শান্তিতে রয়েছে। অহেতুক অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। আদিবাসীদের প্রকৃত উন্নয়ন না করে তারা চমকের রাজনীতি করে। তৃণমূল নেতাদের সফর নিয়ে বিভীষণবাবু বলেন, ‘‘আমি কোনও দলে নেই। ওরা তো স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার নাম করে আমাকে চাল দিয়ে গিয়েছে।’’ উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের এপ্রিলে উত্তরবঙ্গ সফরের সময় গীতা মাহালির বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ করেছিলেন অমিত শাহ। পরদিনই সেখানে হাজির হয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী গৌতম দেব। পরে তৃণমূলে যোগদান করেন গীতা মাহালি। গত বৃহস্পতিবার তাঁকে স্পেশ্যাল হোমগার্ডে চাকরির নিয়োগপত্র দিয়েছে রাজ্য সরকার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.