নন্দন দত্ত, সিউড়ি: ফের গণধর্ষণ। আর এবার বাংলাতেই গণধর্ষণ (Gangrape)। ঘটনাস্থল বীরভূমের বোরবাঁধ। আদিবাসী ওই মহিলা ঘটনার তিনদিন পর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকি তিনজন এখনও পলাতক। কেন ঘটনার তিনদিন পর অভিযোগ দায়ের করলেন ওই মহিলা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
ঠিক কী হয়েছিল? ওই মহিলার বয়ান অনুযায়ী, দীর্ঘদিন ধরে বীরভূমের (Birbhum) বোরবাঁধ এলাকায় বসবাস করছেন তিনি। বেশ কয়েকবছর আগে তাঁর স্বামী মারা যান। বর্তমানে একাই ওই গ্রামে বাস করেন তিনি। গত মঙ্গলবার সন্ধেয় এক ব্যক্তির সঙ্গে এলাকাতেই দেখা করতে গিয়েছিলেন। কিছুক্ষণ সেখানে দাঁড়িয়ে কথাও বলেন তিনি। পরে ওই ব্যক্তির বাইকে চড়ে যাচ্ছিলেন আদিবাসী মহিলা। তাঁর দাবি, রাস্তার মাঝেই তিনি দেখেন পাঁচজন ব্যক্তি বসে মদ্যপান করছে। তারাই পথ আটকায় ওই মহিলার। বাইক থেকে নামতে বলা হয়। প্রথমে নামতে চাননি মহিলা। পরে যদিও ধমক দিয়ে বাইক থেকে নামানো হয় তাঁকে।
এরপর জঙ্গলের ভিতরে টেনে নিয়ে যাওয়া হয় ওই মহিলাকে। অভিযোগ, পাঁচজন মদ্যপ ব্যক্তি একে একে ধর্ষণ করে তাঁকে। তারপর ওই জঙ্গলের ভিতরেই ফেলে রেখে চলে যায় তারা। দেওয়া হয় প্রাণনাশের হুমকিও। নিজেকে সামলে নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ পর একাই জঙ্গল থেকে বাড়ি ফিরে যান তিনি। মাঝে তিনদিন কেটে যায়। শনিবার মহম্মদবাজার থানায় যান নিগৃহীতা আদিবাসী মহিলা। সেখানে পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। পুলিশ তদন্তে নেমে রাতে দু’জনকে গ্রেপ্তার করে। বাকি তিনজন এখনও পলাতক। কারও কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। কেন শনিবার পর্যন্ত থানায় অভিযোগ জানালেন না ওই নিগৃহীতা আদিবাসী মহিলা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.