অংশুপ্রতিম পাল, খড়গপুর: ফের মৃত্যু হল আরেক তৃণমূল কর্মীর৷ এবার ঘটনাস্থল পশ্চিম মেদিনীপুরের কুনারপুরের৷ অভিযোগ, বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে তৃণমূল কর্মীকে খুন করেছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা৷ যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গেরুয়া শিবিরের নেতাকর্মীরা৷ ঘটনার নেপথ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল দেখছেন তাঁরা৷
গণেশ ওরফে দীপক ভুঁইঞা এলাকায় সক্রিয় তৃণমূল কর্মী হিসাবে পরিচিত৷ পরিবারের দাবি, রবিবার রাতে নির্দিষ্ট সময়ে বাড়ি ফিরে যান তিনি৷ খাওয়াদাওয়া সেরে বাড়িতে বসেছিলেন৷ আচমকাই রাত ১২টা নাগাদ তিনজন যুবক গণেশের কাছে আসেন৷ বাড়ির কাছে একটি জায়গায় ডেকে নিয়ে যায় তাঁকে৷ এরপর রাতে আর বাড়ি ফেরেননি ওই তৃণমূল কর্মী৷ রাতভর ওই যুবকের খোঁজে তল্লাশি চলে৷ সোমবার সকালে সাইকা পাটনায় একটি ধানজমিতে গণেশের দেহ পড়ে থাকতে দেখেন গ্রামবাসীরা৷ খবর দেওয়া হয় নারায়ণগড় থানায়৷ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তৃণমূল কর্মীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে৷ তার পাশ থেকে উদ্ধার করা হয় মৃতের মোটরবাইক৷ দেহ উদ্ধারের সময় মৃতের পায়ে মিলেছে ক্ষতচিহ্ন৷ পরিবারের দাবি, খুব কাছ থেকে গুলি করে খুন করা হয়েছে গণেশকে৷ যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে গুলিবিদ্ধ হয়ে খুনের তত্ত্বে এখনও মান্যতা দেওয়া হয়নি৷ তবে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, প্রথমে ক্লোরোফর্ম দিয়ে অজ্ঞান করা হয়েছিল ওই তৃণমূল কর্মীকে৷ তারপর তাঁকে খুন করা হয়েছে৷ যদিও ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে আসার আগে কীভাবে মৃত্যু হয়েছে, সে বিষয়ে নিশ্চিত কোনও তথ্য দেওয়া সম্ভব নয় বলেই জানিয়েছেন তদন্তকারীরা৷
মৃতের পরিবারের অভিযোগ, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা গণেশকে পরিকল্পনামাফিক খুন করেছে৷ ঘটনার তদন্তের দাবিতে ইতিমধ্যেই নিহতের পরিজনেরা দেহ ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিংবা পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী ঘটনাস্থলে না পৌঁছানো পর্যন্ত দেহ উদ্ধার করতে দেবেন না বলেই সাফ জানিয়েছেন মৃত তৃণমূল কর্মীর পরিজনেরা৷ আপাতত এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে থমথমে নারায়ণগড়ের কুনারপুর৷ এলাকায় বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.