জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: কথা রাখলেন উত্তর ২৪ পরগনার তৃণমূল নেতা তথা আরটিও (RTO) বোর্ডের সদস্য গোপাল শেঠ। ৮ জুন পর্যন্ত এলাকা করোনামুক্ত রাখতে সক্ষম হওয়ায় ঘোষণা অনুযায়ী আদিবাসী অধুষ্যিত পারুই শবর, ব্যাধ ,দুর্লভ, জেলে পাড়ার মহিলাদের হাতে তুলে দিলেন শাড়ি। নতুন শাড়ি হাতে পেয়ে খুশি মহিলারা।
চলতি বছরের মার্চ থেকেই করোনা আতঙ্কে স্তত্র গোটা দেশ। একই অবস্থা এরাজ্যেও। সংক্রমণ রুখতে জারি হয়েছে লকডাউন। কিন্তু তা সত্ত্বেও কেউ প্রতিদিনের অভ্যাসবশত ঢুঁ মারছিলেন চায়ের দোকানে। কেউ আবার লকডাউনকে ছুটি হিসেবে গণ্য করে হাজির হচ্ছেন বন্ধুদের মাঝে। আর কিছু মানুষ যাদের বের হচ্ছিলেন পেটের দায়ে। এই পরিস্থিতিতে বনগাঁর আদিবাসী অধ্যুষিত বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের ঘরবন্দি রাখতে অদ্ভুত ফন্দি এঁটেছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার আরটিও(RTO) বোর্ডের সদস্য গোপাল শেঠ। ঘোষণা করেন, ৮ জুন পর্যন্ত যদি গ্রামে করোনা প্রবেশ করতে না পারলে সব মহিলা পাবেন নতুন শাড়ি। ব্যস, এই আশ্বাসেই নিজেকে ও পরিবারের সদস্যদের ঘরবন্দি রাখতে রাজি হয়ে যান মহিলারা।
কথা রাখেন স্থানীয়রা। নিয়মিত মেনে চলেন সমস্ত বিধি। ব্যবহার করেন মাস্ক-স্যানিটাইজার। এর ফলস্রুতিতে এখনও করোনামুক্ত ওই এলাকা। এরপরই শর্ত অনুযায়ী গোপালনগর গিরিবালা উচ্চ বিদ্যালয়ে ‘বাংলার গর্ব মমতা’ অনুষ্ঠান থেকে আদিবাসী অধ্যুষিত পারুই শবর, ব্যাধ ,দুর্লভ, জেলে পাড়ার বাসিন্দাদের হাতে শাড়ি তুলে দিলেন গোপালবাবু। তিনি জানান, “বেশ কয়েকটি গ্রাম কথা রেখেছে। আজ এখানে শাড়ি দিচ্ছি। এরপর মুড়িঘাটা-সহ অন্যান্য এলাকায় যাব।” যদিও, এদিন সামাজিক দূরত্ব পালন করতে দেখা যায়নি কাউকেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.