Advertisement
Advertisement

Breaking News

তৃণমূল নেতা

সরকারের দেওয়া মাছের খাবার চুরি করে চড়া দামে বিক্রি! তৃণমূল নেতাকে ঘিরে বিক্ষোভ

প্রায় ঘণ্টাখানেক বিক্ষোভের পর পুলিশ তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

A TMC leader allegedly theft fish food in South 24 Pargana
Published by: Sayani Sen
  • Posted:May 17, 2020 9:36 am
  • Updated:May 17, 2020 9:36 am  

দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: লকডাউনের সময় বিভিন্ন পুকুরে মাছ চাষের জন্য দেওয়া হয়েছিল মাছের খাবার। সরকারিভাবে পাঠানো হয়েছিল কয়েক শ’বস্তা মাছের খাবার। কিন্তু সেই খাবার চুরি করে বেআইনিভাবে বিক্রির অভিযোগ উঠল তৃণমূলের এক নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং থানার দিঘিরপাড় এলাকায়। অভিযোগ, কয়েকশো বস্তা মাছের খাবার অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা আতিয়ার রহমান সর্দার বেআইনিভাবে চুরি করে বিক্রি করছিল। সঙ্গে ছিলেন ওই অভিযুক্ত ব্যক্তির পঞ্চায়েত সদস্য স্ত্রী আনজুরা বিবিও।

অভিযোগ, পঞ্চায়েত সদস্য স্ত্রী ও এই নেতা ব্লকের সমস্ত মাছের খাবার নিজেদের ক্ষমতা দেখিয়ে চুরি করে বিক্রি করে দেয়। ক্যানিংয়ের এক প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার অনুগামী বলে ওই দম্পতি পরিচিত। এর আগেও বহু দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল এই নেতার বিরুদ্ধে। কিন্তু রাজনৈতিক ক্ষমতা দেখিয়ে পুরো বিষয়টা ধামাচাপা দেওয়া গিয়েছে। কিন্তু এবার তিনি পড়েন গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে। প্রতি বস্তা ২২০০ টাকা দরে বিক্রি করার সময় গ্রামবাসীরা তাকে বাধা দেয় এবং হাতেনাতে ধরে ফেলে।  ৫০  কেজি ওজনের এই বস্তাগুলি মৎস্য চাষিদের দেওয়ার জন্য সরকার নির্দেশ দিলেও সেগুলি মূলত নেতারাই বিক্রি করে দিচ্ছেন এমনটা অভিযোগ গ্রামবাসীদের।

Advertisement

[আরও পড়ুন: দুর্ঘটনার কবলে পরিযায়ী শ্রমিকদের বাস, জখম বাংলার ২০ জন শ্রমিক]

তবে ক্যানিংয়ের মৎস্য দপ্তরের আধিকারিকের নজর এড়িয়ে কী করে কয়েকশো বস্তা খাবার বিক্রি হচ্ছে তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। ক্যানিং ব্লকের মৎস্য আধিকারিক অরুণ দেব বলেন, “যে খাবারগুলো চুরি করে বিক্রি হচ্ছিল তা সুন্দরবন উন্নয়ন পর্ষদ থেকে পাওয়া মাছের খাবার।” স্থানীয় মানুষজন এদিন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে বেধড়ক মারধর করে তুলে দেয় পুলিশের হাতে। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই নেতাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। শুরু হয়েছে ঘটনার তদন্ত। বিক্ষোভকারী গ্রামবাসী বাবলু শেখ রাজ্জাক তরফদার বলেন, “গরিব মৎস্যজীবীদের দেওয়ার জন্য যে খাওয়া সরকারিভাবে দেওয়া হয়েছিল তা ২২০০ টাকা করে প্রতি বস্তা বিক্রি করছিলেন ওই নেতা। আমরা তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলি। এবং পুলিশের হাতে তুলে দিই।”

অন্যদিকে, চুরি করে মাছের খাবার বিক্রি করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতা আতিয়ার রহমান সর্দার। তিনি বলেন, “চুরি করে মাছের খাবার বিক্রি করিনি। এলাকার মানুষ মিথ্যা অভিযোগ করছেন।” স্থানীয় মানুষের বিক্ষোভের মুখে পড়ে ওই তৃণমূল নেতা-সহ আরও দুই অভিযুক্তকে আটক করে ক্যানিং থানার পুলিশ। সামাজিক দূরত্ব না মেনে কয়েক হাজার মানুষ এদিন ওই তৃণমূল নেতার বাড়ির সামনে চড়াও হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। প্রায় ঘণ্টাখানেক বিক্ষোভের পর পুলিশ তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

[আরও পড়ুন: পুলিশ সেজে এলাকায় ঘোরাফেরা, ৩ যুবককে বেধড়ক মার গ্রামবাসীদের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement