সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: রাজ্যে প্রাণ গেল আরও এক তৃণমূল নেতার (TMC Leader Murder)। এবার ঘটনাস্থল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর। আঁধারমাণিক এলাকার ২২ নম্বর বুথ তৃণমূল কোষাধ্যক্ষ ছিলেন মঙ্গল প্রামাণিক নামে নিহত ওই তৃণমূল নেতা। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার এক বিজেপি কর্মী। অভিযুক্ত ও নিহতের মধ্যে পারিবারিক সম্পর্কও ছিল।
নিহত মঙ্গল প্রামাণিক, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরের আঁধারমাণিক এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। সোমবার ভোরে সোনারপুর দক্ষিণ বিধানসভার গোবিন্দপুরে মাছের আড়তে যান তিনি। আড়তে কাজে যাওয়ার পথেই ঘটে বিপত্তি। অভিযোগ, সোনারপুরের লাঙলবেড়িয়া এলাকায় তাঁকে বাঁশ দিয়ে মারধর করা হয়। দেবাশিস প্রামাণিক নামে স্থানীয় এক বিজেপি কর্মী তাঁকে মারধর করে বলে অভিযোগ। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় মঙ্গলকে। তবে ততক্ষণে সব শেষ। চিকিৎসকরা জানান, মৃত্যু হয়েছে মঙ্গলের।
দেবাশিস ও মঙ্গলের পারিবারিক সম্পর্কও রয়েছে। মঙ্গলের মামাতো ভাইয়ের মেয়ের সঙ্গে বিয়ে হয় দেবাশিসের। অভিযোগ, দেবাশিসের দাম্পত্য সম্পর্ক মোটেও মধুর নয়। দেবাশিস স্ত্রীকে মারধর করত বলেই অভিযোগ। মঙ্গল তার প্রতিবাদ করতেন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই দেবাশিস এবং মঙ্গলের মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকত। দাম্পত্য অশান্তি নিয়ে রবিবার দু’জনের মধ্যে ঝগড়াঝাটি হয়। মঙ্গল দেবাশিসকে চড়ও মারেন। অভিযোগ, তারই প্রতিশোধ নিতে সোমবার সকালে দেবাশিস বাঁশ দিয়ে মঙ্গলকে মারধর করে। আর তার জেরে মৃত্যু হয় মঙ্গলের।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিষ্ণুপুরের বিধায়ক দিলীপ মণ্ডল বলেন, “একটি পারিবারিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে শান্ত বিষ্ণুপুরকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে বিজেপি।” যদিও এই খুনের প্রসঙ্গে বিজেপির তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। সোনারপুর থানার পুলিশ অভিযুক্ত দেবাশিস প্রামাণিককে গ্রেপ্তার করেছে। এই ঘটনার পর থেকে এলাকায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.