Advertisement
Advertisement

Breaking News

কন্যাশ্রী প্রকল্প

কন্যাশ্রীর সার্টিফিকেটের বিনিময়ে কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ, কাঠগড়ায় তৃণমূল নেতা

ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।

A tmc leader allegedly demand some money for Kanyashree certificate
Published by: Sayani Sen
  • Posted:February 14, 2020 9:23 pm
  • Updated:February 14, 2020 9:23 pm  

সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: মুখ্যমন্ত্রীর সাধের প্রকল্প কন্যাশ্রীর আবেদনের জন্য গ্রাম পঞ্চায়েতে অবিবাহিতার সার্টিফিকেট চেয়েও মেলেনি। তাই কলেজে আবেদন পত্র জমা দিতে পারছেন না দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বিষ্ণুপুরের রসখালির বাসিন্দা এক ছাত্রী। তাঁর অভিযোগ, পঞ্চায়েত সদস্য ওই সার্টিফিকেটের জন্য রেকমেন্ডেশন লেটার দিতে তাঁর কাছে কাটমানি দাবি করছেন। যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছেন ওই পঞ্চায়েত সদস্য। এদিকে তৃণমূল পরিচালিত রসখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ তুলে এলাকায় ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে বিজেপি।

বিষ্ণুপুর-১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির রসখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের দমদমা গ্রামের বাসিন্দা পল্লবী নস্কর কলেজের বাংলা অনার্সের ছাত্রী। কলেজে কন্যাশ্রীর আবেদনপত্র জমা দেওয়ার জন্য ওই ছাত্রী গ্রাম পঞ্চায়েতের কাছে তাঁর অবিবাহিতের সার্টিফিকেট চান। ওই ছাত্রীর অভিযোগ, পঞ্চায়েত প্রধানের কাছ থেকে সার্টিফিকেট চাইলে তাঁকে গ্রাম সদস্যের রেকমেন্ডেশন লেটার আনতে বলা হয়। আর তা চাইতে গেলে গ্রাম সদস্য দীপঙ্কর নস্কর তাঁর কাছে বাবা-মায়ের জব কার্ডের টাকার কমিশন দাবি করেন। পঞ্চায়েত প্রধান তপতী বাছারকে বিষয়টি জানালে তিনিও ওই টাকা পঞ্চায়েত সদস্যকে দিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেন বলে ছাত্রীর অভিযোগ। এখনও ওই রেকমেন্ডেশন লেটার না পাওয়ায় স্থানীয় ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক ও জেলাশাসকের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন ছাত্রীটি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: স্কুলের পোশাকে পদ্মফুলের লোগো, অভিভাবকদের বিক্ষোভে ভুল স্বীকার কর্তৃপক্ষের]

এদিকে, অভিযুক্ত ওই গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য দীপঙ্কর নস্কর জানান, সরকারি এই প্রকল্পের ওপর মিথ্যে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ করে কালি ছেটানোর চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, আসল ঘটনা হল গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাতে ওই ছাত্রী পল্লবী নস্কর এবং তাঁর দিদি চন্দনা নস্কর হঠাৎই ভিডিও রেকর্ডিং করতে করতে তাঁর ঘরে ঢুকে পড়েন। সার্টিফিকেট পেতে তাঁর কাছে রেকমেন্ডেশন লেটার চান। তিনি তাঁদের বলেন, পরদিন পঞ্চায়েত অফিসে এসে নিয়ে যেতে। তা সত্ত্বেও  দুই বোন তাঁর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। তখন তিনি রেগে যান। তিনি তাঁদের রাগের মাথায় জানিয়ে দেন, জবকার্ডের টাকা ব্যাংকে না ঢোকায় ২০১৯ সালে ওই ছাত্রীর বাবা অসিত নস্কর তাঁর কাছে অনুরোধ জানান আপাতত ওই টাকা তিনি যেন দিয়ে দেন। জবকার্ডের টাকা ব্যাংকে ঢুকলেই তিনি তাঁকে শোধ করে দেবেন। সেই কথামতো দীপঙ্করবাবু তাঁর এক বিঘা জমি যুধিষ্ঠির সিংয়ের কাছে বন্ধক রেখে ১৯ হাজার ১০০ টাকা অসিত বাবুর হাতে তুলে দিয়েছিলেন বলে তিনি জানান।

দীপঙ্কর বাবুর অভিযোগ, ২০১৯- এর এপ্রিলে অসিতবাবু এবং তাঁর স্ত্রীর জব কার্ডের টাকা ব্যাংকে ঢুকলেও আজ পর্যন্ত তাঁরা ধার নেওয়া টাকা শোধ করেননি। রাগের মাথায় সেই টাকার কথাই তিনি ওই ছাত্রী ও তাঁর দিদিকে বলেছিলেন। কোনও কাটমানি তিনি চাননি। যদিও বিজেপি এই ঘটনাকে ইস্যু করে এলাকায় ইতিমধ্যেই ওই পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে প্রচার শুরু করে দিয়েছে। জেলা বিজেপি নেতা সুফল ঘাঁটুর অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীর এত সাধের প্রকল্প কন্যাশ্রীর টাকা পেতে অবিবাহিতের সার্টিফিকেট চাইতে গিয়েও কলেজ ছাত্রীর কাছে কাটমানি চাইছেন তৃণমূলের নেতা। এই ঘটনা নিন্দনীয়। জেলাপ্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রীর অভিযোগপত্র পাওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement