শুভদীপ রায়নন্দী, শিলিগুড়ি: ফের ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় মৃত ভিন রাজ্যের পাঁচ পর্যটক। গুরুতর জখম হয়েছেন চারজন। মঙ্গলবার এই দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায় শিলিগুড়ির লোহাপুলে। আহতদের উদ্ধার করে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়।
একটি দুর্ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আরেকটি পথ দুর্ঘটনা। ১০ মার্চের পর শিলিগুড়ির লোহাপুলে ফের একটি ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনার সাক্ষী হল পর্যটকরা। পুলিশ সুত্রে জানা যায়, পর্যটক বোঝাই একটি গাড়ি শিলিগুড়ির লোহাপুলের কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রায় পাঁচশো মিটার গভীর খাদে পড়ে যায়। গাড়িটি পূর্ব সিকিমের জুলুক থেকে নিউ জলপাইগুড়ি রেল স্টেশন হয়ে ফিরছিল তখনই ওই দুর্ঘটনাটি ঘটে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় অভিজিৎ রথ (৪৫), সুলোচনা পাণ্ডা (৬৩), শকুন্তলা নন্দ (৬০), চন্দ্রশেখর নন্দ (৬৬), সবিতা নন্দের। গাড়ি চালক ভোপাল ছেত্রী, ডলি দাস, শ্বেতপদ্ম নন্দ এবং সাই স্নেহা রথ গুরুতর জখম হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এরা প্রত্যেকেই ওড়িশার বাসিন্দা বলে জানা যায়।
মঙ্গলবার সকালে একটি বিকট শব্দ পেয়েই স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে যান ও আহতদের উদ্ধার করে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যায়। পুলিশ ও দমকল কর্মীরা গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মেডিক্যালে পাঠায়। জানা গিয়েছে, পাঁচ দিন আগে ওড়িশা থেকে ওই পরিবারটি পূর্ব সিকিমে জুলুকে ঘুরতে যায়। সেখান থেকে এদিন নিউ জলপাইগুড়ি রেল স্টেশন থেকে ট্রেনে বাড়ি ফেরার কথা ছিল ওই পরিবারের সদস্যদের। ফেরার সময় রম্ভি-সুনতালে লোহাপুলের কাছে পর্যটক বোঝাই গাড়িটি আচমকা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রায় পাঁচশো ফুট গভীর খাদে পড় যায়।
কালিম্পংয়ের পুলিশ সুপার হরেকৃষ্ণ পাই বলেন, “পাঁচ দিন আগে ওই দুই পরিবার পূর্ব সিকিমে ঘুরতে গিয়েছিল। এদিন শিলিগুড়ি ফেরার পথে পর্যটক বোঝাই গাড়িটি খাদে পড়ে যায়। ফলে ঘটনাস্থলেই দুই পরিবারের পাঁচ সদস্যের মৃত্যু হয়। আহতদের উদ্ধার করে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। কী করে দুর্ঘটনাটি ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, “পর্যটকদের সবরকম সাহায্য করা হবে যাতে সুস্থ হয়ে নিজেদের রাজ্যে ফিরে যেতে পারেন। পাশাপাশি ওড়িশা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।” হিমালয়ান হসপিটালিটি এন্ড ট্রাভেল ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন ,”এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। নিহতদের পরিবারকে সমস্তরকম সাহায্য করা হবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.