প্রতীকী ছবি
সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: কষ্টের পরিবার। নুন আনতে পান্তা ফুরনোর দশা সংসারে। রাজমিস্ত্রীর জোগালের কাজ করে সংসার চালান রনজিৎ মণ্ডল। প্রতিদিন লড়াই করতে হয় আর্থিক অনটনের সঙ্গে। এর মধ্যে জুতো কেনার আবদার করে ছেলে। কিনে দিতে অপারগ বাবা জানান কাজ থেকে ফিরে এসে কিনে দেবেন। সঙ্গে ছেলেকে নিজের হাত খরচের জন্য কিছু কাজ করার কথাও বলেন তিনি। এর পরেই আম বাগান থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় ছেলের।
শুক্রবার বাবা রনজিৎ মণ্ডলের কাছে জুতো কেনার আবদার করে ছেলে রামজিত মণ্ডল। তা কিনে দিতে না পারায় আত্মঘাতী হয় ১৭ বছর বয়সি ওই কিশোর। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) ফুলিয়ার (Phulia) চাপাতলা এলাকায়।
পরিবারের দাবি, গতকাল জুতো কিনে না দেওয়ায় বাবা কাজে যাওয়ামাত্রই বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় ছেলে। বিকেলে বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে, একটি আমবাগানে ঝুলন্ত দেহ দেখতে পায় এলাকার মানুষ। খবর দেওয়া হয় পরিবারকে। ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে। শনিবার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য রানাঘাট পুলিশ মর্গে (Ranagaht police) পাঠানো হয়। ছেলে হারানোর শোকে কাতর বাবা রনজিৎ মণ্ডল।
রনজিতের সহকর্মী ইসমাইল শেখ বলেন, “কাজে যাওয়ার সময় রনজিৎ বলে ওর ছেলে জুতো কিনতে চেয়েছে। তাতে পালটা ছেলেকে কিছু কাজ করে রোজগারের কথা বলে। তার পরই বাড়ি থেকে চলে যায় ও। বিকেল বেলায় আমাদের কাছে ফোন আসে ছেলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.