অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: নেশা করা নিয়ে বিবাদের জেরে খুন নাকি অন্য কিছু? হাওড়ার শিবপুরে এক কিশোরের গলায় তার জড়ানো দেহ উদ্ধারের ঘটনায় রহস্যের ভিড়। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে বন্ধুরাই তাকে খুন (Murder) করেছে। যদিও পুলিশ গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত নিহতের চার বন্ধুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে গোটা ঘটনাটির রহস্যের জট কাটবে বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা।
নিহতের নাম রেইজ আজম। সে হাওড়ার (Howrah) শিবপুরের বাসিন্দা। শুক্রবার সন্ধেয় বাড়ি থেকে বেরোয় সে। অনেক রাত হয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় পরিজনরা দুশ্চিন্তা শুরু করেন। শুরু হয় খোঁজখবর। অনেক খোঁজাখুঁজির পর রাত বারোটা নাগাদ বিপ্রদাস চ্যাটার্জী লেনে তার রক্তাক্ত দেহ দেখতে পাওয়া যায়। উদ্ধারের সময় প্রায় তার গোটা দেহই রক্তে ভেসে যাচ্ছিল। গোটা শরীরে ছিল একাধিক আঘাতের চিহ্ন।
খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় শিবপুর থানার পুলিশ। রেইজকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। নিয়ে যাওয়া হয় হাওড়া জেলা হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে জানান। যে এলাকা থেকে দেহ উদ্ধার হয়েছে, সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা চিনতেন রেইজকে। তাঁদের দাবি, বেশিরভাগ দিনই বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে নিয়ে ওই এলাকায় নেশা করার জন্য জড়ো হত সে। শুধুমাত্র মদ্যপ নাকি অন্যান্য নেশায় বুঁদ ছিল রেইজ তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, ধারাল কোনও অস্ত্র দিয়েই তাকে খুন করা হয়েছে। নেশা নিয়ে বিবাদের জেরে তাকে তার বন্ধুবান্ধবরাই খুন করেছে বলেই অনুমান পুলিশের। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত রেইজের চার বন্ধুবান্ধবকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ধৃতেরা হল রাজা আলি, আরিয়ান রাজা খান, মহম্মদ ফয়জল ও বিকাশ বর্মা ওরফে বাউয়া। এই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নিহতের পরিজনেরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.