Advertisement
Advertisement

Breaking News

স্কুলছাত্রের দেহ

স্কুলের সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে ছাত্রের দেহ উদ্ধার, জোরাল খুন করে দেহ লোপাটের তত্ত্ব

পোশাক দেখেই ছাত্রের দেহ শনাক্ত করেন তাঁর পরিজনেরা৷

A students body recovered from school premises in Khejuri
Published by: Sayani Sen
  • Posted:July 15, 2019 7:41 pm
  • Updated:July 15, 2019 7:41 pm  

রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: ব্যক্তিগত বিবাদ থেকে খুন নাকি অন্য কিছু? স্কুলের সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে দ্বাদশ শ্রেণির নিখোঁজ ছাত্রের পচাগলা দেহ উদ্ধারের ঘটনায় উত্তপ্ত খেজুরি৷ সোমবার  সকালে  অমৃত ভারতী স্কুল থেকে বিশ্বজিৎ পাত্র নামে ওই ছাত্রের দেহ উদ্ধার করা হয়৷ কে বা কারা  এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, তা এখনও জানা যায়নি৷ তালপাটি কোস্টাল থানার পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে৷ 

[ আরও পড়ুন: ভাটপাড়া পুর হাসপাতালে দুষ্কৃতী হামলা, রক্ষা পেল না প্রসূতি বিভাগও]

গত ৮ জুলাই বাড়ি থেকে টিউশন পড়তে বেরিয়েছিল বছর সতেরোর বিশ্বজিৎ পাত্র৷ তবে রাত বেড়ে গেলেও বাড়ি ফেরেনি দক্ষিণ খেজুরি বাণীমঞ্চ হাইস্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র বিশ্বজিৎ৷ ওয়াশিলচকের বাসিন্দা ওই ছাত্রের পরিবার গোটা এলাকা তন্নতন্ন করে খুঁজেছেন৷ তা সত্ত্বেও খোঁজ মেলেনি স্কুলছাত্রের৷ তাই বাধ্য হয়ে খেজুরির তালপাটি কোস্টাল থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেছেন৷ তবে পরিবারের অভিযোগ, ডায়েরি করা হলেও ছেলেকে খুঁজে দেওয়ার কোনও উদ্যোগ নেয়নি পুলিশ৷

Advertisement

এদিকে, সোমবার সকালে বিশ্বজিতের বাড়ির কাছেই অবস্থিত ওয়াশিলচকের অমৃত ভারতী স্কুল থেকে দুর্গন্ধ পান স্থানীয়রা৷ দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে শুরু করেন তাঁরা৷ স্কুলের সেপটিক ট্যাঙ্ক খোলা হয়৷ তা খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ গ্রামবাসীদের৷ তাঁরা ওই সেপটিক ট্যাঙ্কের ভিতরেই বিশ্বজিতের পচাগলা দেহ দেখতে পান৷ খবর দেওয়া হয় খেজুরির তালপাটি কোস্টাল থানায়৷ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে৷ প্রাথমিকভাবে পোশাক দেখে বিশ্বজিৎকে শনাক্ত করেন তাঁর পরিজনেরা৷ নিহত বিশ্বজিতের মায়ের অভিযোগ, প্রতিবেশী এক ব্যক্তির সঙ্গে তাঁদের চূড়ান্ত বিবাদ ছিল। প্রতিবেশীই তাঁদের হুমকি দিত। তারাই ছেলেকে তুলে নিয়ে যাবে বলেও হুমকি দিয়েছিল। ওই ব্যক্তিই তাঁর ছেলেকে খুন করেছে বলেও অভিযোগ মৃতের মায়ের।

[ আরও পড়ুন: গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টায় অভিযুক্ত ‘ভূত’, হাতেনাতে ধরা পড়েও পালাল অভিযুক্ত]

সেপটিক ট্যাঙ্কে বিশ্বজিতের দেব থেকে উত্তেজিত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা৷ স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা৷ কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তা স্পষ্ট নয়৷ পুলিশই বা কেন দ্বাদশ শ্রেণির নিখোঁজ ছাত্রের খোঁজ করল না তা নিয়েও দানা বেঁধেছে রহস্য৷ যদিও গ্রামবাসীদের প্রশ্নের উত্তর দিতে নারাজ তালপাটি কোস্টাল থানার পুলিশ৷ প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, খুন করে দেহ লোপাটের উদ্দেশ্যেই বিশ্বজিতের দেহ সেপটিক ট্যাঙ্কে রাখা হয়েছিল৷ যদিও ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে কিছুই বলা সম্ভব নয় বলেই দাবি আধিকারিকদের৷ 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement