Advertisement
Advertisement
আক্রান্ত সন্দেহে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন যুবক

উত্তরবঙ্গে ফের করোনা আতঙ্ক, আক্রান্ত সন্দেহে হাসপাতালে ভরতি যুবক

১০ দিন আগে সিঙ্গাপুর থেকে ফিরেছিলেন তিনি।

A student, suspecting Corona admitted in North Bengal Medical.

ছবি: প্রতীকী।

Published by: Paramita Paul
  • Posted:February 7, 2020 6:12 pm
  • Updated:March 12, 2020 1:09 pm  

শুভদীপ রায় নন্দী, শিলিগুড়ি: এবার উত্তরবঙ্গে করোনা আতঙ্ক। শুক্রবার সকালে আক্রান্ত সন্দেহে এক যুবক উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি হন। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শহরে শোরগোল পরে যায়। জানা গিয়েছে, ওই যুবক উত্তর দিনাজপুরের বাসিন্দা হলেও পড়াশোনার জন্য সিঙ্গাপুরে ছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পর তাঁর জ্বর, ডায়েরিয়া, সর্দি-কাশি এবং বুকে ব্যথা শুরু হয়। 

উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার কৌশিক সমাজদার বলেন, “অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। যুবকের করোনা হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা করে এবং যুবকের বিদেশ ভ্রমণের ইতিহাস জানার পর আমরা আইসোলেশন ওয়ার্ডে অবজারভেশনে কিছুদিন রাখার সিদ্ধান্ত নিই।” তিনি জানান, যুবক সুস্থই রয়েছে। জ্বর এখন নেই।হাসপাতাল সূত্রে খবর, ওই যুবকের চিকিৎসা শুরু হয়েছে। করোনার জন্য হাসপাতালে বিশেষভাবে তৈরি আইসোলেশন ওয়ার্ডে অবজারভেশনে রেখেছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকরা। 

Advertisement

[আরও পড়ুন: করোনা আতঙ্ক, জাপানের জাহাজে আক্রান্তদের সঙ্গে আটকে বাংলার যুবক]

চিকিৎসাধীন যুবক উত্তর দিনাজপুর জেলার ডালখোলার পূর্ব প্রসাদপুরের বাসিন্দা। ওই যুবক রসায়নবিদ্যা নিয়ে সিঙ্গাপুরের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করছেন। দশদিন আগে বিমানে সিঙ্গাপুর ফেরেন। তিন-চারদিন পর আচমকা তাঁর জ্বর, সর্দিকাশির মতো উপসর্গ দেখা দেয়। বুধবার রায়গঞ্জ মেডিক্যাল বহির্বিভাগে দেখালে চিকিৎসকরা কিছু পরীক্ষা করতে দেন। কিন্তু পরের দিন আবার তাঁর শরীর খারাপ হলে হাসপাতালের চিকিৎসকরা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করেন। এদিন সকালে হাসপাতালের আউট ডোরে নিজের উপসর্গ এবং বিদেশে থাকার বিস্তারিত তথ্য চিকিৎসককে জানায় যুবক। তৎক্ষণাৎ আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করে ওই যুবককে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভরতি করা হয়।

[আরও পড়ুন: ছেলের দ্বিতীয় স্ত্রীকে মানতে নারাজ পরিবার, ধরনায় বসেই মুশকিল আসান নতুন বউয়ের]

ছয় বেডের ওই বিশেষ আইসোলেশন ওয়ার্ডে ওই যুবকই ভর্তি রয়েছেন। তাঁকে দেখাশোনার জন্য ২৪ ঘন্টা একজন নার্স থাকবেন এবং পালা করে চিকিৎসকরা দেখবেন বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। ইতিমধ্যে যুবকের রক্তের নমুনা সোয়াব পরীক্ষার জন্য কলকাতার নাইসেডে পাঠানো হয়েছে। দু-চারদিনের মধ্যে রিপোর্ট আসার কথা রয়েছে। পুরো বিষয়টির উপর জেলার সহকারী মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিজে নজরদারি করবেন বলে জানা গিয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement