Advertisement
Advertisement

Breaking News

Medinipur

ফোন কিনে দেননি বাবা, অভিমানে চরম সিদ্ধান্ত অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীর

ওই নাবালিকার পোশাক নিয়েও ক্ষুব্ধ ছিল পরিবার।

A student of medinipur allegedly commits suicide | Sangbad Pratidin

ছবি: প্রতীকী

Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:November 6, 2023 8:43 pm
  • Updated:November 6, 2023 8:43 pm  

সৈকত মাইতি, তমলুক: স্মার্ট হতে চেয়েছিল মেয়ে! পোশাক থেকে শুরু করে হেয়ার স্টাইল, সবই ছিল ছেলেদের মতো। যা মোটেই পছ্ন্দ ছিল না পরিবারের। তার উপর দাবি ছিল মোবাইল। যা মেটায়নি পরিবার। যার পরিণতি হল ভয়ংকর। অভিমানে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী অষ্টম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নায়।

পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ময়না থানার পরমানন্দপুর এলাকার বাসিন্দা জয়দেব দাস অধিকারী। পেশায় মেশিন ভ্যান এবং টোটো চালক। অভাবের সংসার সামলে তিন কন্যাসন্তানকে বড় করেছেন। দুই মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। আদুরে ছোট মেয়ে দিপালী দাস অধিকারী (১৪)। স্থানীয় ময়না গার্লসের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সে। বরাবরই ডাকাবুকো এবং অত্যন্ত মিশুকে স্বভাবের হিসেবেই পরিচিত দিপালী। বাজার থেকে শুরু করে সব কাজেতেই স্বতঃস্ফূর্তভাবেই এগিয়ে যেত সে। ভালোবাসতো ছেলেদের মতই চুল কাটতে, ছেলেদের মতো পোশাক পরতে। যা নিয়ে আত্মীয় পরিজনদের বেশ খানিকটা আপত্তি ছিল। এসবের মাঝেই বাবার ফোন থেকে ফেসবুক করা শুরু করে দিপালী। সম্প্রতি বাবার কাছে মোবাইল কিনে দেওয়ার জন্য আবদার করে সে। কিন্তু আর্থিক অবস্থার কারণেই মোবাইল ফোন কিনে দিতে চাইছিলেন না জয়দেববাবু। যা নিয়ে সংসারে কয়েকদিন ধরেই চলছিল তুমুল অশান্তি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: দূষণ দানবের শক্তি বাড়াচ্ছে বেলাগাম ব্যবসা, অভিযানে উদ্ধার ১৫০ কেজি নিষিদ্ধ বাজি]

অবশেষে অপমানে অভিমানে আত্মহত্যার পথ বেছে নিল ময়নার এই প্রত্যন্ত গ্রামের অষ্টম শ্রেণির স্কুল ছাত্রীটি। রবিবার বিকেলে বাড়ির চিলেকোঠা থেকে ঝুলন্ত মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না থানার পুলিশ। কান্নায় ভেঙে পড়েন দিপালীর পরিবার পরিজন এবং আত্মীয়রা। সোমবার তমলুকের মেডিক্যাল কলেজের মর্গে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেয় পুলিশ। কান্নায় ভেঙে পড়ে দিপালীর মামা বিলু কায়েত। বলেন, “অত্যন্ত আদুরে ছিল আমার এই ছোট ভাগ্নি। কিন্তু ছেলেদের মত মাথার চুল কাটার পাশাপাশি ছেলেদের পোশাক পরত বলে আমরা অল্পবিস্তর বকুনি দিতাম। কিন্তু ও যে এভাবে অভিমানে আত্মহত্যার পথ বেছে নেবে তা কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছি না।”

[আরও পড়ুন: থিমের লড়াইয়ে স্ট্যাচু অফ লিবার্টি, অজন্তা-ইলোরা, কালীপুজোয় সাজ সাজ মধ্যমগ্রামে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement