সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক : ফের স্কুলে যৌন নির্যাতনের শিকার তৃতীয় শ্রেণির এক পড়ুয়া। ঘটনায় আটক করা হয়েছে স্কুলেরই এক শিক্ষককে। শুক্রবার নদিয়ার তেহট্ট থানার বেতাই জিতপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ, স্কুলের মধ্যেই ওই পড়ুয়ার উপর নির্যাতন চালাত শিক্ষক। যদিও এ বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
দেশজুড়ে মেয়েদের উপর একের পর এক নৃশংস অত্যাচারের ঘটনা সামনে আসছে। অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিও হচ্ছে।তবে তার মাঝেই ফের হতাশা উসকে প্রকাশ্যে এল স্কুলে নাবালিকার উপর যৌন নির্যাতনের ঘটনা। অভিযোগ, স্কুল চলাকালীন ওই পড়ুয়াকে আলাদা করে ডেকে দোতলায় নিয়ে যেত অভিযুক্ত শিক্ষক রজতজ্যোতি বিশ্বাস। ছুটির পরেও তাকে অনেক সময় স্কুলের দোতলায় ডেকে নিয়ে যেতে দেখেছে স্কুলের অন্যান্য পড়ুয়ারা। সেখানেই চলত যৌন নির্যাতনয। অভিযোগ, বাড়িতে বা বন্ধুদের এ বিষয়ে কিছু জানাতে বারণও করেছিল অভিযুক্ত শিক্ষক। এর জন্য ভয়ও দেখানো হত পড়ুয়াকে।এমনকী প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হত।
নির্যাতিতা ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, ভয়ে কয়েকদিন ধরে স্কুলে আসতে চাইত না মেয়ে। স্কুলে আসার কথা বললেই নানা অজুহাত তৈরি করতে সে।কখনও বলত, পেটে ব্যথা তো কখনও অন্য কোনও বাহানা। প্রথমদিকে তার এই অজুহাতে আমল না দিলেও পরে ছাত্রীর মায়ের সন্দেহ হয়। কিশোরীর হাবভাবও অস্বাভাবিক লাগে তাঁর। পরপর দু’দিন ছাত্রীর পোশাকে রক্তের দাগ দেখতে পান তিনি। এরপর মেয়েকে চেপে ধরতেই কাঁদতে কাঁদতে মাকে সব জানায় সে। আর দেরি করেননি তাঁরা। তেহট্ট থানায় অভিযোগ জানান। এরপর শুক্রবার স্কুলে চড়াও হয় স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরাই অভিযুক্তকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করা হয়েছে। শারীরিক পরীক্ষার জন্য ছাত্রীকে তেহট্ট মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনা প্রসঙ্গে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা পদ্মাবতী হালদার বলেন, “এ সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। আজ স্কুলে পোশাক বিতরণ অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে হঠাৎ কয়েকজন যুবক এসে ওই শিক্ষককে ডেকে নিয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে গোটা বিষয়টি জানায়।” তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও কলকাতার নামী স্কুলেও ছাত্রীদের যৌন হেনস্তার অভিযোগ সামনে এসেছিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.