সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: বাড়ি থেকে বিয়ে ঠিক করেছিল। রূপশ্রী প্রকল্পে আবেদনও জানানো হয়েছিল। কিন্তু তাতে মত ছিল না উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্রী মাজেদা খাতুনের। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ফলতা শতলকলসা হাই স্কুল থেকে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার কথা তার। বিডিওর কাছে আবেদন করে রূপশ্রী প্রকল্পে (Rupashree Project) নিজের আবেদন ফিরিয়েও নিয়েছে ১৮ বছরের ওই ছাত্রী।
মাজেদার কথায়, বাড়ি থেকে বিয়ে ঠিক করলেও তাতে তার প্রথম থেকেই মত ছিল না। সে চায় আরও উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হতে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) কথা উল্লেখ করে মাজেদা জানায়, “আমি একজন সংখ্যালঘু ছাত্রী। মমতাদি সংখ্যালঘু ছাত্রীদের উচ্চশিক্ষার জন্য যে সুযোগসুবিধা দিয়েছেন তাতে গর্বিত। তাই এখনই বিয়ে করতে চাই না। কন্যাশ্রীর সুবিধা নিয়ে পড়াশোনা করেছি। ঐক্যশ্রীর আবেদন জানিয়েছি। বিয়ে করব না বলেই রূপশ্রীর আবেদন ফিরিয়ে নিলাম। উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে তবেই বিয়ে করব, তার আগে নয়।”
মাজেদার এমন সিদ্ধান্তে খুশি ফলতার বিডিও সন্দীপ ঘোষ। তিনি জানিয়েছেন, মাজেদাকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হতে সবরকম সরকারি সুযোগসুবিধার ব্যবস্থা করবেন তিনি। মাজেদার অভিভাবকদেরও বুঝিয়েছেন যাতে তাঁরা মেয়ের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিয়ে তাকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে সাহায্য করেন। রাজি হয়েছেন তাঁরাও। ফলতা পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ আতিকুল্লা মোল্লা মাজেদার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে তাকে শুভেচ্ছা জানান। এদিকে সুন্দরবন পুলিশ জেলার রায়দিঘির পূর্ব শ্রীধরপুর গ্রামে এক নাবালিকার বিয়ে রুখলেন রায়দিঘি থানার পুলিশ ও মথুরাপুর ২ নম্বর ব্লকের বিডিও অফিসের কর্মীরা। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের উপস্থিতিতে পুলিশ ও বিডিও অফিসের কর্মীরা ওই বাবা-মাকে নাবালিকা বিয়ের কুফল সম্বন্ধে বোঝান। নাবালিকার বাবা-মা সকলের সামনে প্রতিশ্রুতি দেন মেয়ের ১৮ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা আর বিয়ে দেবেন না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.