ছবি: প্রতীকী
নন্দন দত্ত, সিউড়ি: একের পর এক ধর্ষণের ঘটনায় ফুঁসছে বাংলা। হাঁসখালি ধর্ষণ কাণ্ড (Hanskhali Rape Case) নিয়ে সর্বত্র চলছে জোর আলোচনা। আর তারই মাঝে বীরভূমের কাঁকরতলা থানার সাহাপুর গ্রামে জোর উত্তেজনা। বাবার যৌন লালসার শিকার নাবালিকা। মাকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। বাধ্য হয়ে পুলিশের দ্বারস্থ কিশোরী। কাঁকরতলা থানায় অভিযোগ দায়ের। গ্রেপ্তার নাবালিকার বাবা।
কাঁকরতলা থানার সাহাপুর গ্রামের ওই নাবালিকা বাবা এবং মায়ের সঙ্গে বসবাস করত। অভিযোগ, মা বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলেই তাকে ধর্ষণ করত বাবা। ঘটনাটি জানাজানি হলে আরও বেশি অত্যাচারেরও হুমকি দিত বাবা। তাই কাউকে কিছু জানাত না সে। কয়েকদিন আগে মাকে গোটা বিষয়টি জানায় নাবালিকা। তা সত্ত্বেও মা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলেই দাবি তার।
বাধ্য হয়ে শুক্রবার সন্ধেয় কাঁকরতলা থানায় যায় নাবালিকা। বাবার বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে। কিশোরীর অভিযোগ পাওয়মাত্রই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। তড়িঘড়ি নাবালিকার বাড়িতে হানা দেন তদন্তকারীরা। কিশোরীর বাবা শেখ ইসরাইল ওরফে গেদাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পকসো আইনে ধৃতের বিরুদ্ধে মামলাও রুজু হয়। শনিবার অভিযুক্তকে দুবরাজপুর আদালতে তোলা হয়।
শুধু নিজের মেয়েকে ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য অপরাধই নয় ধৃত গেদার বিরুদ্ধে আরও নানা অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, সে এলাকায় নানা অসামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকত। সে সব কাজের পর আবার সকলকে হুমকিও দিত। মেয়েকে ধর্ষণের পরেও একইভাবে তাকে হুমকি দিত বলেই অভিযোগ স্থানীয়দের। নাবালিকার মা ঘটনা জানার পরই বা কেন কোনও ব্যবস্থা নিলেন না, সে প্রশ্নও উঠছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.