ছবি: প্রতীকী
রাজা দাস, বালুরঘাট: ঘর থেকে উদ্ধার হল উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর রক্তাক্ত দেহ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমণ্ডি থানার অন্তর্গত কাঁঠালহাট হোসেনপুর এলাকায়। পরিবার ও গ্রামবাসীদের সন্দেহ, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে ছাত্রীকে। এদিকে, ঘটনার পিছনে প্রেমের সম্পর্কর তথ্যও উঠে আসছে।
জানা গিয়েছে, মৃত ওই ছাত্রীর নাম রুমা রায় (ঝিলি)। এবছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল তার। বুধবার রাতে খাওয়ার পর নিজের ঘরে চলে যায় রুমা। অন্য ঘরে ছিলেন মা, বাবা। প্রতিদিন সকালে বাড়ির গবাদিপশু মাঠে দিতে যায় রুমা। কিন্ত এদিন রুমার কোনও সারা শব্দ মিলছিল না। এতেই সন্দেহ হয় বাবা-মায়ের। ফলে তাঁরা মেয়ের ঘরের দরজা ধাক্কা দেন। এরপরই চক্ষুচড়কগাছ। দেখা যায়, ঘরের মেঝেতে উলটো হয়ে পরে রয়েছে রুমার দেহ। রক্তাক্ত মুখ, চোখের পাতা খুবলে নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে গলায় জড়ানো ছিল ওড়না। খবর পেয়ে কুশমণ্ডি থানার পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠায় ময়নাতদন্তের জন্য।
মৃতার বাবা অজয় রায় জানান, তিনি ভিন রাজ্যে শ্রমিকের কাজ করেন। দোল উপলক্ষ্যে গত সোমবার বাড়ি এসেছেন। তার মেয়ের সঙ্গে একটি ছেলের ভালাবাসার সম্পর্ক ছিল। মোবাইলে আর ডি নাম দিয়ে সেভ করা একটি নম্বর থেকে ফোন আসত। কে সেই আর ডি তা তাঁরা জানেন না। তাদের ধারণা রাতে কেউ এসেছিল। সে কোনওভাবে মেয়ের ঘরে ঢুকেছিল।
মৃতার পিসি ঝর্ণা রায়, গ্রামবাসী গোপাল সরকার বলেন, “প্রথমে ভেবেছিলাম রুমা বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছে। কিন্ত পরেই দেখি রুমার মুখ ক্ষতবিক্ষত। আমাদের ধারণা এটি খুন। মেয়েটির সঙ্গে যৌথ অত্যাচারের বিষয়টি উপেক্ষা করতে পারছি না আমরা। দোষীকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।” গ্রামবাসী সূত্রে খবর, যে ছেলেটির সঙ্গে রুমার প্রেম ছিল সে এই মূহুর্তে ভিন রাজ্যে রয়েছে। ফলত, ঘটনার পিছনে বড় ষড়যন্ত্র থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার রাহুল দে জানান, “কুশমণ্ডিতে একছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্ত না হওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর সম্পর্কে কিছু বলা যাবে না।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.