বাবুল হক, মালদহ: আস্ত একটা স্কুল (School) চুরি! অভিযোগ, সেখানে বহুতল তৈরি করে বেশ কয়েক কোটি টাকা উপার্জনের ছক কষে দুষ্কৃতীরা। দিনের আলোয় স্কুলটি ভেঙে ধুলোয় মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। বুধবার ঘটনাস্থলে গিয়ে অবাক হন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক সুনীতি সাঁপুই। তিনি তড়িঘড়ি ইংলিশবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
মালদহ (Maldah) শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কালীতলা এলাকায় রয়েছে বহু পুরনো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। বর্তমানে ৪০ জন পড়ুয়া এবং দু’জন শিক্ষক রয়েছেন। যে জমির উপর স্কুল রয়েছে, তার বর্তমান মূল্য প্রায় ৩০ কোটি টাকা। অভিযোগ, এতেই লোভ সামলাতে পারেনি প্রোমোটার বাহিনী। স্কুল কর্তৃপক্ষ বা প্রশাসনের কাউকে কিছু না জানিয়ে একদম চুপিসারে স্কুলটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই জমিতে বহুতল তৈরির কাজ শুরুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক বলেন, “আমি পুলিশকে জানিয়েছি। এভাবে কেউ স্কুল ভেঙে ফেলতে পারে না। রাজ্যে এই ধরনের ঘটনা আগে দেখিনি।”
জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কালীতলা এলাকায় প্রায় তিন কাঠা জমির উপর রয়েছে ৬১ বছরের পুরনো সরকারি স্কুল ছাত্রবন্ধু প্রাথমিক বিদ্যালয়। লকডাউন থেকে এই স্কুলটি বন্ধ ছিল। ফলে স্কুলমুখো হয়নি কেউ। হঠাৎ করে রাতারাতি স্কুলটি কে বা কারা ভেঙে গুঁড়িয়ে ময়দান তৈরি করে দিয়েছে, তা নিয়েই এখন বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। বহু বছর আগে জনৈক এক ব্যক্তি প্রাথমিক ওই স্কুলটি তৈরির জন্য জমিদান করেছিলেন। সেই জমির উপর নজর পড়েছে অসাধু প্রোমোটার চক্রের। মদত রয়েছে এক রাজনৈতিক নেতার বলে অভিযোগ। ডিআই সুনীতি সাঁপুই বলেন, “কীভাবে স্কুলটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল, কারা এই ঘটনার পিছনে জড়িত, সেই সম্পর্কে এখনও পরিষ্কার করে কিছু জানতে পারিনি। তবে সরকারি একটি স্কুল ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ইংলিশবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হচ্ছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.