Advertisement
Advertisement

Breaking News

suicide

মানসিক অবসাদের জের, হবু শ্বশুরবাড়ি থেকে ফেসবুক লাইভ করে আত্মঘাতী শিক্ষক

ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

A school teacher of Balurghat commits suicide on thursday night
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:September 11, 2020 6:17 pm
  • Updated:September 11, 2020 6:17 pm  

রাজা দাস, বালুরঘাট: ফেসবুক (Facebook) লাইভ চলাকালীন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হলেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক। গভীর রাতে হবু শ্বশুর বাড়িতে থাকাকালীন বালুরঘাটের শিক্ষক শুভাশিষ মার্ডির আত্মহত্যার ঘটনায় তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। যদিও প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, মানসিক অবসাদ থেকে ওই শিক্ষক আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত। নেপথ্য অন্য কোনও কারণ লুকিয়ে রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

জানা গিয়েছে, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট (Balurghat) থানার অন্তর্গত আমরাইলের চক আন্ধারু এলাকার বাসিন্দা শুভাশিষ মার্ডি নামে ওই যুবক। কুমারগঞ্জ চক্রের বটুন গ্রাম পঞ্চায়েত অধীনস্থ সফরপুর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহ-শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি। কিছুদিন আগে বিয়ে ঠিক হয়েছিল তাঁর। কিন্তু বাবা মারা যাওয়ায় আনুষ্ঠানিক বিয়ে পিছিয়ে যায়। তবে বেশ কিছুদিন ধরে তিনি বালুরঘাটে চিঙ্গিশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মধুপুর এলাকায় হবু শ্বশুরবাড়িতে থাকছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সেখানে থাকাকালীনই ফেসবুক লাইভে আসেন তিনি। তখন তাঁর হবু স্ত্রী পাশের ঘরে পড়াশোনা করছিলেন। লাইভ চলাকালীন আচমকাই গলায় গামছার ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হন ওই শিক্ষক। খবর পেয়ে বালুরঘাট থানার পুলিশ গিয়ে শিক্ষকের মৃতদেহ উদ্ধার করে। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বালুরঘাট সদর হাসপাতালে।

Advertisement

Subhashis-mardi-2

[আরও পড়ুন: বাংলার ভাঁড়ারে কিঞ্চিৎ প্রাপ্তি, হাতে এল কেন্দ্রীয় বরাদ্দের মাসিক ৪১৭ কোটি টাকা]

মৃতের সহকর্মী রাকেশ কুণ্ডু বলেন, “শুভাশিষ মার্ডি আত্মহত্যার প্রস্তুতি নিচ্ছিল তা আমরা ফেসবুক লাইভে দেখতে পাই গভীর রাতে। একাধিকবার আমরা তাঁর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করি। কিন্ত শুভাশিষ ফোন ধরেনি।
এরপরে তাঁর হবু শ্বশুর বাড়ির লোকেদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পারিনি আমি ও অন্য সহ-কর্মীরা। শ্বশুর বাড়ির লোকেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হলে, হয়ত বাঁচানো যেত আমাদের সহকর্মীকে। লকডাউনে একা হয়ে পড়ছে মানুষ। স্কুল বন্ধ বলে যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন। হতাশা বা মানসিক অবসাদ নানা কারণে বাড়ছে। সেই কারণেই ও আত্মঘাতী হয়েছে বলে ধারণা আমাদের।” মৃত শিক্ষকের আত্মীয় শ্রীমন্ত হাঁসদা বলেন, “আমার ভাই শুভাশিষ মার্ডির পরিবারিক কোনও অশান্তি ছিল না। মাস ছয়েক আগে বিয়ের আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয় ওর। তবে সামাজিক বিয়ে পিছিয়ে গিয়েছিল। আমার মামাতো ভাই শুভাশিষ সম্ভবত মানসিক অবসাদে ভুগছিল।”

[আরও পড়ুন:গঙ্গায় ভেসে উঠল হুগলির নিখোঁজ NEET পরীক্ষার্থীর দেহ, খুন নাকি আত্মহত্যা? ধন্দে পুলিশ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement