Advertisement
Advertisement
Balurghat

থানায় ঢুকে ছবি তুলছিলেন! বালুরঘাটে শিক্ষককে ‘মার’ পুলিশের

মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ।

Balurghat: A school teacher allegedly beaten by police
Published by: Subhankar Patra
  • Posted:October 19, 2024 10:22 am
  • Updated:October 19, 2024 1:02 pm  

রাজা দাস, বালুরঘাট: থানায় ঢুকে মোবাইলে ছবি তোলায় প্রাথমিক স্কুলের এক শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ। কাঠগড়ায় বালুরঘাট(Balurghat) ব্লকের পতিরাম থানার পুলিশ। জয়দেব সরকার নামে জখম ওই প্রাথমিক শিক্ষক বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ।

জানা গিয়েছে, দশমীর রাতে পতিরাম থানার অন্তর্গত বাউল এলাকায় একটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে পুলিশ শুভজিৎ সরকার নামে এক যুবককে আটক করে পুলিশ। এর কিছু পরই আটক শুভজিতের মামা জয়দেব পতিরাম থানায় যান। তিনি থানার ভিতরে নিজেই মোবাইল দিয়ে একের পর এক ছবি তুলছিলেন বলে পুলিশের দাবি। যাতে আপত্তি জানান কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীরা। তা নিয়ে তর্কবিতর্ক শুরু হয় বলে খবর। সেসময় জয়দেবকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন ওই প্রাথমিক শিক্ষক। তাঁকে পরে পুলিশই হাসপাতালে ভর্তি করে।

Advertisement

জয়দেবের স্ত্রী শুক্লা সরকার বলেন, “সংঘর্ষের ঘটনায় যারা জড়িত তাদের ধরতে পারেনি পুলিশ। অভিযুক্তকে না পেয়ে দোকানের কর্মচারীকে ধরে আনে। তাঁকে বিনা অপরাধে ধরে নিয়ে আসায় আমার স্বামী মামা হিসেবে থানায় আসেন। সেখানেই পুলিশ বেধড়ক মারধর করেছে। মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছেন আমার স্বামী।” শুক্লাদেবীর কথায়, “অভাব অভিযোগের কথা থানায় জানাতে আসে মানুষ। সেখানে এই ধরনের ঘটনা ঘটলে তাঁরা কার কাছে যাবেন?” পতিরাম থানার ওসি সৎকার সাংবো জানিয়েছেন, “পুলিশ বারণ করার পরেও ভিডিও তোলা বন্ধ করেননি ওই স্কুলশিক্ষক। এর পর পাকড়াও করতেই সংজ্ঞাহীন হয়ে যান। অ্যাম্বুল্যান্স ডেকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কোনও মারধরের ঘটনা ঘটেনি।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement