প্রতীকী ছবি
সুমন করাতি, হুগলি: টিউশন পড়ে ফেরার সময় অপহরণের অভিযোগ। অর্ধনগ্ন ও অচৈতন্য অবস্থায় নাবালিকা স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার রাতে হুগলির হরিপালের বিডিও অফিস সংলগ্ন গোপীনগর এলাকা থেকে ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয়। আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের হত্যাকাণ্ডের আবহে এই ঘটনায় হরিপালে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। হরিপাল গ্রামীণ হাসপাতালে নাবালিকার চিকিৎসা করা হয়।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সিঙ্গুরের একটি স্কুলে নবম শ্রেণীতে পরে ওই নাবালিকা। স্কুলের পাশেই এক গৃহশিক্ষকের কাছে টিউশন পড়ে। শুক্রবার টিউশন শেষে নসিবপুরে বাড়ি ফেরার জন্য সিঙ্গুর স্টেশনে যাচ্ছিল। ট্রেন ধরে বাড়ি ফেরার কথা ছিল। তবে নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও বাড়ি ফেরেনি সে। তার ফলে শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। ইতিমধ্যে হরিপাল এলাকা থেকে কেউ বা কারা নাবালিকা ছাত্রীর বাড়িতে ফোন করেন। তাঁরা জানান, হরিপালের বিডিও অফিস সংলগ্ন গোপীনগর এলাকায় ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয়েছে। সেই সময় অচৈতন্য ছিল স্কুলছাত্রী। অর্ধনগ্নও ছিল সে। স্থানীয় মহিলারাই তাঁকে পোশাক পরান। এবং নাম, ঠিকানা জানার চেষ্টা করেন।
ইতিমধ্যে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় হরিপাল থানার পুলিশ। স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে হরিপাল গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই তার চিকিৎসা করা হয়।
এই খবর পাওয়া মাত্রই কিশোরীর পরিবারের লোকজন হরিপাল হাসপাতালে পৌঁছয়। স্থানীয়দের দাবি, অসংলগ্নভাবে কিশোরী জানায় সিঙ্গুর থেকে টিউশন পড়ে বাড়ি ফেরার সময় হঠাৎ একটি চার চাকা গাড়ি তার পাশে এসে দাঁড়ায়। ওই গাড়িতে বেশ কয়েকজন যুবক ছিল। তারা কার্যত জোর করে গাড়িতে তুলে নেয়। তবে এর পর আর কী হয়েছে, সে বিষয়ে নাকি নাবালিকা কিছুই বলতে পারেনি।
হুগলি গ্রামীণ পুলিশ জেলার সুপার কামনাশিস সেন বলেন, “নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে একজন মহিলা পুলিশকর্মী নির্যাতিতার বয়ান রেকর্ড করেছেন। ইতিমধ্যে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। নির্যাতিতার প্রাথমিক শারীরিক পরীক্ষাও হয়েছে। পরে শারীরিক পরীক্ষার জন্য অভিভাবকদের সঙ্গে চন্দননগরে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। মহিলা অফিসারই তদন্ত করছেন।” তিনি আরও জানান, এই ঘটনায় অভিযোগপত্র বা নির্যাতিতার বয়ানেও ধর্ষণের কোনও অভিযোগ নেই। তবে শ্লীলতাহানির অভিযোগ রয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.