অংশুপ্রতীম পাল, খড়গপুর: খড়গপুরের ( Kharagpur)হিড়াডিহীতে পাঁচিল ঘেরা আবর্জনায় মিলল একটি পরিত্যক্ত কফিন। করোনা আবহে এই পরিত্যক্ত কফিন ঘিরে ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়ায় স্থানীয়দের মনে। ফলে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন গ্রামের বাসিন্দারা। বিক্ষোভের জেরে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হল আবর্জনা ফেলার স্থানের গেটে।
জেলা হোক বা শহর, করোনা থেকে রেহাই মেলেনি কারোর। খড়গপুরের হিড়াডিহী এলাকার আবর্জনা ফেলার স্থানে দেখা গেল একটি পরিত্যক্ত কফিন (Coffin)। তাই নিয়েই দ্রুত আতঙ্ক ছড়ায় স্থানীয়দের মনে। তবে আবর্জনা ফেলার স্থানে কে বা কারা এসে এই কফিনটি ফেলে যায় তা জানা যায়নি। ফলে নিকটবর্তী পাঁচটি গ্ৰামের বাসিন্দারা ঘটনাস্থলে গিয়ে তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। আবর্জনা ফেলার জায়গাটির গেটে তালাও ঝুলিয়ে দেন তাঁরা। ক্ষোভপ্রকাশ করে স্থানীয় বাসিন্দা বাবুলাল সোরেন জানান, “আমরা এই জায়গায় আর আবর্জনা ফেলতে দেব না। এখানে শুধুমাত্র খড়গপুর পুর এলাকার আবর্জনা ফেলার কথা। কিন্তু এখানে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ডেবরা হাসপাতালের যাবতীয় বর্জ্য পদার্থ রাতের অন্ধকারে ফেলা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, এখানে মৃতদেহ-সহ আবর্জনা পোড়ানো হচ্ছে। যার ফলে হিড়াডিহী-সহ লাগোয়া পাঁচটি গ্ৰামের পরিবেশ দূষিত হচ্ছে।” স্থানীয়দের আরও অভিযোগ যে, অনবরত এই স্থান থেকে দুর্গন্ধ ছড়ায়। এমনকি এই জায়গায় নাকি রাতের অন্ধকারে পুঁতে দেওয়া হচ্ছে মরদেহ! ফলে মঙ্গলবার পরিবেশ দপ্তর থেকে এই আবর্জনা ফেলার জায়গা পরিদর্শনে গেলে তাঁদের ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। পরিবেশ দপ্তরের আধিকারিকরা পরিদর্শনের সময় ঘটনাস্থলে হাজির ছিলেন খড়গপুর এক নম্বর ব্লকের গোপালি গ্ৰাম পঞ্চায়েতের প্রধান।
গ্ৰাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিক্ষোভ না দেখালেও স্থানীয়দের অভিযোগগুলি তিনিও সমর্থন করেন। অভিযোগের প্রমাণ স্বরূপ স্থানীয়রা পরিত্যক্ত কফিনটি দেখান পরিবেশ দপ্তরের আধিকারিকদের। রীতিমতো ক্ষোভপ্রকাশ তাঁরা পরিবেশ দপ্তরের আধিকারিকদের প্রশ্ন করেন, “কফিনে করে যদি মৃতদেহ না আনা হয়, তাহলে কি খাবার নিয়ে আসা হয়েছে?” এই এলাকা সংলগ্ন সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্প গড়ারও কথা চলছে বলে জানা যায়। কিন্তু সেখানেও কোনও নিয়ম মানা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।
তবে এই ঘটনার কথা খড়গপুর পুরসভার প্রশাসক তথা বিধায়ক প্রদীপ সরকার জানতে পারেন। গোটা ঘটনার জন্য তিনি বিজেপি ও সিপিএমের উপর দোষ চাপিয়ে দেন। তাঁর মতে, “এই দুই দল স্থানীয় মানুষজনকে ভুল বুঝিয়ে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের কাজ আটকানোর চক্রান্ত করছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.