সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিনের পর দিন ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনা জানাজানি হলে দেওয়া হয় প্রাণনাশেরও হুমকি। অভিযুক্ত ওই গৃহশিক্ষক তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যার ভাগ্নে। তাই মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলার এই ঘটনায় লেগেছে রাজনৈতিক রং। অভিযুক্তকে বাঁচানোর চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ সিপিএম এবং কংগ্রেসের। যদিও অভিযোগ খারিজ করেছে তৃণমূল।
মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ভগবানগোলার সুন্দরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ওড়াহর এলাকার বাসিন্দা নবম শ্রেণির ওই স্কুলছাত্রী। সে দীর্ঘদিন ধরেই স্থানীয় যুবক আবদুর রহিম ওরফে ফিটুর কাছে বিজ্ঞান পড়ত। অনেকের সঙ্গে কোচিং ক্লাসেই ছাত্রীকে পড়াত সে। অভিযোগ, সকলকে ছুটি দিয়ে মাঝেমধ্যেই ওই নাবালিকাকে আটকে রাখত ফিটু। সেই সুযোগে একাধিকবার ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে বলেও অভিযোগ। দিনকয়েক আর ফিটুর কাছে পড়তে যেতে চাইছিল না ছাত্রীটি। ওই আচরণে রেগে যান ছাত্রীর মা। কেন পড়তে যেতে চাইছে না, সেই প্রশ্ন করতে শুরু করেন তিনি। মায়ের লাগাতার জেরায় ভেঙে পড়ে সে। কাঁদতে কাঁদতে ফিটুর ‘কুকীর্তি’র কথা জানিয়ে দেয় ছাত্রীকে। কিন্তু এতদিন কেন কোনও কথা মাকে জানায়নি সে? মা সেই প্রশ্ন করায় ছাত্রীটি জানায়, ঘটনা জানাজানি হলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছিল ফিটু। তাই বাধ্য হয়ে মুখ বুজে নির্যাতন সহ্য করেছে সে।
এরপর স্থানীয় সকলকেই ফিটুর দুর্ব্যবহারের কথা জানান নির্যাতিতার মা। তারপরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে সুর চড়ায় প্রত্যেকে। ভগবানগোলা থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়। অভিযুক্ত ফিটুর মামি তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যার। তাই অনেকেরই অভিযোগ, ফিটুর ‘কুকীর্তি’ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি। সিপিএম এবং কংগ্রেস নেতৃত্বও একই অভিযোগে সরব। যদিও তৃণমূলের তরফে অভিযোগ খারিজ করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণ হলে শাস্তি পাবেই বলেই দাবি। তবে ঘটনার পর থেকেই এলাকাছাড়া ফিটু। শারীরিক পরীক্ষা হয়েছে নাবালিকাও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.