ছবি: প্রতীকী।
ধীমান রায়, কাটোয়া: লকডাউনের (Lockdown) জেরে দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ। করোনা (Coronavirus) সংক্রমণের আশঙ্কায় ছেলেমেয়েদের টিউশন পড়তে পাঠানোও বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছেন অভিভাবকরা। এই সুযোগে বছর দশেকের এক স্কুলছাত্রের দুষ্টুমিতে নাজেহাল তাঁর বাবা-মা। বাধ্য হয়ে একজন গৃহশিক্ষক রেখেছিলেন তাঁরা। কিন্তু অভিভাবকরা ভাবতেও পারেননি বাড়িতে বসে পড়ানোর নাম করে গৃহশিক্ষকের যৌন লালসার মুখে পড়তে হবে তাঁদের সন্তানকে। পূর্ব বর্ধমান (Burdwan) জেলার কেতুগ্রাম থানার গঙ্গাটিকুরি গ্রামের এই ঘটনায় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত নাবালক ছাত্র। অভিযুক্ত গৃহশিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
নিগৃহীত ছাত্র গঙ্গাটিকুরি উচ্চ বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ে। গঙ্গাটিকুরি গ্রামে বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকে ওই ছাত্র। বাবা পেশায় কৃষক। পরিবার সূত্রে জানা যায়, বাড়িতে পড়াশোনা ঠিকঠাক করছিল না ওই ছাত্র। তাই তাকে বাড়িতে এসে পড়ানোর জন্য সন্দীপ মণ্ডল নামে এক শিক্ষককে ঠিক করা হয়। মাসদুয়েক আগে এই ব্যবস্থা করেন নির্যাতিত ওই ছাত্রের বাবা। নাবালক ছাত্রের পড়ার জন্য বাড়িতে একটি নির্দিষ্ট ঘর রয়েছে। মাসদুয়েক ধরে ঘরের দরজা বন্ধ করে গৃহশিক্ষক ওই ঘরেই ছাত্রকে পড়াতেন। ছাত্রের বাবা জানান, বেশ কিছুদিন ধরেই তাঁর ছেলে কান্নাকাটি করছিল। ওই শিক্ষকের কাছে পড়তে রাজি হচ্ছিল না। শেষে ছাত্রটিকে জিজ্ঞাসা করায় সে ঘটনা খুলে বলে।
ছাত্রের থেকে যৌন হেনস্তার কথা শোনার পর তিনদিন আগে ওই ঘরের মধ্যে লুকিয়ে একটি স্মার্টফোনে ভিডিও রেকর্ডিং অপশন চালু করে দেওয়া হয়। সেদিনই ক্যামেরাবন্দি হয়ে যায় গৃহশিক্ষকের কুকীর্তি।
রবিবার নিগৃহীত ছাত্রের বাবা কেতুগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। প্রমাণ হিসাবে ওই ভিডিওটিও দেখান। সোমবার ভোরে গৃহশিক্ষককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। প্রথমে ধৃত গৃহশিক্ষক নিজের কৃতকর্ম অস্বীকার করছিলেন। পরে যদিও ওই ভিডিও দেখে নিজের অপরাধ স্বীকার করে সে। ধৃতের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। শিক্ষকের কুকীর্তির কথা শুনে তাজ্জব প্রায় সকলেই।
ছবি: জয়ন্ত দাস
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.