সৌরভ মাজি, বর্ধমান: শারীরিক পরীক্ষার সময় পুলিশ হেফাজত থেকে পালিয়ে গেল বন্দি৷ ধাওয়া করেও তাকে ধরতে পারেননি পুলিশকর্মীরা। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পাঁচিল টপকে চম্পট দেয় ওই বন্দি। ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল গোটা এলাকায়। ধৃত মোবাইল চোর পালানোর ঘটনায় বর্ধমান সিজেএম আদালতে রিপোর্ট পেশ করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পলাতক ওই বন্দির নাম শেখ সফিকুল। বাড়ি বর্ধমানের কেষ্টপুরের মাঠপাড়ায়। বাবুরবাগ ৪০ পীরতলা এলাকার বাসিন্দা ইন্দ্রনীল ঘোষ ঘরে মোবাইল চার্জে বসিয়ে বাইরে বেরিয়েছিলেন। সেই সুযোগে সফিকুল মোবাইলটি চুরি করে। পরে ফিরে এসে ইন্দ্রনীল মোবাইলটি দেখতে পাননি। সেই সময় সফিকুলকে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখেন বাড়ির সামনে। ইন্দ্রনীল তাকে ধরার জন্য যেতেই সফিকুল দৌড়ে পালাতে থাকে। তিনি তাড়া করেন। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবেকানন্দ ছাত্রাবাসের আবাসিকদের চেষ্টায় হস্টেলের কাছেই ধরা পড়ে যায় সফিকুল। তাকে ধরে গণপ্রহারও দেওয়া হয়। ইন্দ্রনীলবাবুর অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয় সফিকুলকে। সফিকুলের কাছ থেকে ইন্দ্রনীলবাবুর মোবাইলটি উদ্ধার হয়।
সোমবার সকালে আদালতে পেশ করার আগে তাকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষার জন্য নিয়ে যায় পুলিশ। আচমকাই পুলিশের হাত ছাড়িয়ে দৌড়তে শুরু করে সফিকুল। কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা তাকে ধাওয়া করে। কিন্তু ব্যর্থ হন। হাসপাতালের সীমানা পাঁচিল টপকে চম্পট দেয় সে। ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় হাসপাতালে। পুলিশের তরফে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশিও শুরু হয়। কিন্তু সফিকুলের কোনও খোঁজ মেলেনি। পরে বর্ধমান থানায় ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ। আদালতে পুলিশ এই সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ করে। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.