দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: অন্তঃসত্ত্বা বিজেপি কর্মীকে মারধরের অভিযোগকে কেন্দ্র করে রবিবারও উত্তপ্ত হুগলির বাঁশবেড়িয়া। অন্তঃসত্ত্বা অসুস্থ অবস্থায় চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ভরতি ওই মহিলা। তাঁকে দেখতে যাওয়াকে কেন্দ্র করে বিজেপি ও তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে বচসা। বাঁশবেড়িয়ার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলরকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা।
বিজেপির অভিযোগ, শনিবার অন্তঃসত্ত্বা বাঁশবেড়িয়ার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের রাস্তায় পুরসভার কল থেকে জল আনতে গিয়েছিলেন। জল নেওয়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরের ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কর্মী রাখাল দাসের সঙ্গে বচসা হয়। বচসার জেরে রাখাল দাস ও তার ছেলেরা ওই মহিলাকে বেধড়ক মারধর করে বলেই অভিযোগ। বাধা দিতে গেলে গৃহবধূর শ্বশুরকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। ঘটনার পরই ওই মহিলাকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ভরতি করা হয়। অভিযুক্ত রাখাল দাস বাঁশবেরিয়া পুরসভার দুই কাউন্সিলরের অনুগামী। মগরা থানায় অভিযোগও হয়। শনিবার রাতে পুলিশ রাখাল দাস ও তার দুই ছেলেকে গ্রেপ্তার করে।
রবিবার দুপুরে ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর মিনতি ধর তাঁর অনুগামীদের নিয়ে ওই অন্তঃসত্ত্বাকে দেখতে হাসপাতালে যান। ঘটনাচক্রে সেই সময় বিজেপির হুগলি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তুষার মজুমদারও তাঁর দলীয় কর্মীদের নিয়ে হাসপাতালে ওই মহিলাকে দেখতে যান। হাসপাতালে ওই মহিলা কাউন্সিলরকে দেখে তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপির মহিলা কর্মীরা। মহিলা বিজেপি কর্মীরা কাউন্সিলরকে ঘিরে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। প্রাথমিক পর্যায়ে তীব্র বাকবিতণ্ডা হয়। শেষ পর্যন্ত তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি হওয়ার উপক্রম হয়। তবে বিজেপির পুরুষ কর্মীদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
এই ঘটনায়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন বিজেপি কর্মীরা। তৃণমূল কর্মীদের যুক্ত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেন কাউন্সিলর মিনতি ধর। তিনি জানান, এটা সম্পূর্ণ পারিবারিক ব্যাপার। যার বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে সেই ব্যক্তিকে কোনওদিন দলের কোনও কাজে তিনি দেখেননি। এই অন্যায় কাজ যে করেছে তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস মিনতি দেবীর। এদিকে, রবিবারই ওই অন্তঃসত্ত্বাকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। বিজেপি নেতা সুরেশ সাউয়ের অভিযোগ, বিজেপি সভাপতি তুষার মজুমদার যখন তাঁদের ওই অন্তঃসত্ত্বা বিজেপি কার্যকর্তাকে হাসপাতালে দেখতে যান তখন কাউন্সিলর তাঁকে ছুটি করিয়ে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর চিকিৎসা সম্পন্ন হয়েছে কিনা তা তাঁরা জানেন না। এছাড়াও তিনি জানান, এটা কোনওমতেই পারিবারিক ঘটনা নয়। পরিকল্পনামাফিক তাঁদের ওই মহিলা কর্মীকে মারধর করা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.