নন্দন দত্ত, সিউড়ি: চলন্ত ট্রেনের কামরা থেকে এক যুবককে ফেলে দেওয়ার ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল রাজ্যে। ওই ঘটনায় কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) এক কনস্টেবলকে গ্রেপ্তার করা হল। মঙ্গলবার কলকাতা থেকে গ্রেপ্তার করা হল অভিযুক্ত মন্টু মণ্ডলকে। এদিন তাঁকে রামপুরহার আদালতে (Rampurhat Court) তোলা হলে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
পেশায় কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল মন্টু গত শনিবার চলন্ত হাওড়া-মালদা আপ ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসের কামরা থেকে সজল শেখ নামের এক যাত্রীকে ঠেলে ফেলে দেন বলে অভিযোগ। মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে ধরে নিয়ে কপালে হাত ঠেকিয়ে নমস্কার করতেও দেখা যায় ওই যাত্রীকে। ওই কামরায় বসে গোটা ঘটনা ভিডিও করেন এক মূক ও বধির যুবক। চলন্ত ট্রেন থেকে এক যাত্রীকে ফেলে দেওয়ার সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই শিউড়ে ওঠেন সাধারণ মানুষ।
উল্লেখ্য, শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটে তারাপীঠ ও রামপুরহাট স্টেশনের মাঝে। কামরাটি ছিল বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের জন্য। সেই কামরায় ওঠে এক যুবক (সজল শেখ) ও টাক মাথা ব্যক্তি (মন্টু মণ্ডল)। ৪৯ সেকেন্ডের ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, দুই যাত্রীর মধ্যে বচসা চলছে। এরপর হয় হাতাহাতি। তারপরেই হাড়হিম করা সেই দৃশ্য, টাক মাথা লোকটি দরজা সামনে দাঁড়ানো সজল শেখকে চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দেয় । মূক ও বধির ফারুক নূর যে ভিডিও করেন। মুরারইয়ের বাসিন্দা নূর বাড়ি গিয়ে ভিডিওটি পোস্ট করতেই তা ভাইরাল হয়। ভিডিও পৌঁছে যায় রেল পুলিশের কাছে। সূত্র ধরে ঘটনার অনেক পরে রামপুরহাটের সুঁদিপুরের বাসিন্দা সজল শেখকে রেল লাইনের ধার থেকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করে রেল পুলিশ। তিনি এখন রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন।
রামপুরহাট থানার পুলিশ পরের দিন মূল অভিযুক্তের সঙ্গে থাকা নাসির শেখ নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার কলকাতার মির্জা গালিব স্ট্রিটের কাছ থেকে মূল অভিযুক্ত কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল মন্টু মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.