বাবুল হক, মালদহ: রক্ষকই যেন ভক্ষক। ডিউটির লাঠি দিয়ে মারধরের পর শ্বাসরোধ করে স্ত্রীকে খুন করার অভিযোগ উঠল পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে। খুনের পর বাড়ি থেকে সামান্য দূরে একটি বাগানে শাড়ির ফাঁস দিয়ে স্ত্রীর দেহ গাছে ঝুলিয়ে দেয় সে। জানাজানি হতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন গ্রামবাসীরা। গণপিটুনির হাত থেকে রক্ষা পেতে অবশেষে স্থানীয় থানায় আত্মসমর্পণ অভিযুক্তের। শুক্রবার সকালের চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের পুকুরিয়া থানার পীরগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের খনিবাথান এলাকায়।
বছর পঁচিশের নিহত মাম্পি মণ্ডলের বাপের বাড়ি পুরাতন মালদা থানার পোপরা এলাকায়। সাত বছর আগে পুখুরিয়ার বাসিন্দা পেশায় পুলিশ কর্মী জয়ন্ত মণ্ডলের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। চার এবং এক বছরের দু’টি পুত্রসন্তানও রয়েছে তাঁদের। গৃহবধূর এক দিদি রিঙ্কি মণ্ডল পুলিশকে জানান, পুলিশে চাকরি করায় লাঠি থাকত জয়ন্তর কাছে। সেই লাঠি দিয়েই বোনকে প্রতিনিয়ত মারধর করত। জয়ন্ত ভাবত আমার বোন পরপুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছে। আর ওই সন্দেহের বশে বোন মাম্পিকে পিটিয়ে খুন করে। এরপর বাড়ি থেকে সামান্য দূরে আমগাছে তার দেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।
বধূর দেহ দেখামাত্রই উত্তেজিত হয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা। জনরোষ থেকে বাঁচতে কোনওক্রমে পুলিশের কাছে যায় অভিযুক্ত স্বামী। স্ত্রীকে খুনের কথা স্বীকার করে আত্মসমর্পণ করে সে। পুরো ঘটনাটি নিয়ে অভিযুক্ত পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা।
পুখুরিয়া থানার পুলিশ জানিয়েছে, খুনের পর দেহ যে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে তা স্পষ্ট। কারণ, হাঁটু ভাজ করে বসা অবস্থায় মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত গৃহবধুর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। জয়ন্ত মণ্ডল থানায় আত্মসমর্পণ করেছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঠিক কী কারণে ওই গৃহবধূকে খুন করল সে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গৃহবধূর ময়নাতদন্ত রিপোর্টের অপেক্ষায় তদন্তকারীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.