ছবি: প্রতীকী।
দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: ত্রিকোণ প্রেম নিয়ে প্রতিবাদ করায় অশান্তি। ক্যানিং থানার সাব ইনস্পেক্টর (Sub Inspector of Canning Police Station) এবং তাঁর ছেলেকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ। পুলিশকর্মীর স্ত্রী ও মেয়েকে দেওয়া হল ধর্ষণের হুমকিও। সুবিচার না পেলে আত্মহত্যার হুঁশিয়ারি ওই সাব ইনস্পেক্টরের।
ঠিক কী হয়েছিল? ক্যানিং থানার সাব ইন্সস্পেক্টরের নাবালক ছেলের সদ্যই এক কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। দিব্যিই এগোচ্ছিল সম্পর্ক। তবে তারই মাঝে ওই কিশোরীর জীবনে আসে আরও একজন। তা জেনে যায় সাব ইনস্পেক্টরের ছেলে। প্রতিবাদ করে সে। একইসঙ্গে দু’জনের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার বিরোধিতা করে ওই নাবালক। আর তা নিয়েই শুরু হয় অশান্তি। কারণ, নাবালকের দাবি, কিশোরী দু’জনের সঙ্গেই প্রেমের সম্পর্ক রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তাই নাবালক প্রেমিকের বাধা মোটেও ভাল চোখে দেখেনি সে।
ওই কিশোরী প্রেমে বাধার কথা নতুন প্রেমিককে জানায়। আর তাতেই বেজায় চটে নতুন প্রেমিক। দলবল নিয়ে সাব ইনস্পেক্টরের ছেলের সঙ্গে দেখা করতে চলে আসে সে। প্রথমে ওই যুবকের সঙ্গে পুলিশকর্মীর ছেলের বচসা বাঁধে। আচমকা কিছু বুঝে ওঠার আগেই কিশোরীর নতুন প্রেমিকা দলবল নিয়ে পুলিশকর্মীর ছেলেকে বেধড়ক মারধর করতে শুরু করে। গুরুতর জখম অবস্থায় পুলিশকর্মীর ছেলেকে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেও কিশোরীর নতুন প্রেমিক দলবল নিয়ে হাজির হয়।
ছেলের প্রেমিকার সঙ্গে ত্রিকোণ সম্পর্ক নিয়ে ওই যুবকের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন সাব ইনস্পেক্টর। ওই যুবকের অভিযোগ, সাব ইনস্পেক্টরকে দেখে আরও বিরক্ত হয় সে। সিভিক ভলান্টিয়ারদের সামনেই বেধড়ক মারধর করা হয় ওই কিশোরকে। বাদ যায়নি তার পরিবারও। সাব ইনস্পেক্টরকেও মারধর করা হয়। এমনকী তাঁর স্ত্রী ও মেয়েকে ধর্ষণের (Rape) হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.