দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: বর্তমান পরিস্থিতিতে করোনা মোকাবিলায় সারা বিশ্বজুড়ে চিকিৎসা পরিষেবা দিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা। অধিকাংশ হাসপাতালেই চিকিৎসক ও নার্সদের নাওয়া খাওয়ার সময় নেই। সেখানে সোমবার রাতে চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে ডিউটিতে আসার সময় মহিলা কনস্টেবলের হাতে নিগৃহীত হলেন এক নার্স। অভিযোগ, বাদানুবাদ চলাকালীন ওই মহিলা কনস্টেবল সপাটে নার্সের গালে চড় কষিয়েছেন। স্থানীয় একজনের মোবাইল ক্যামেরায় সেই চড় মারার দৃশ্য ধরা পড়ে। ওই ভিডিও বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। যা রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এদিকে, এই ঘটনার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন চন্দননগরের মানুষ। সেবার মতো এক মহান কাজের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত তাঁকেই আইনরক্ষকের চড় মারার ঘটনায় সর্বত্র উঠেছে সমালোচনার ঝড়।
সোমবার রাত ৮টা নাগাদ সিঙ্গুর থেকে স্কুটি করে হাসপাতালে ডিউটিতে আসছিলেন ওই নার্স। সঙ্গে ছিলেন তাঁর হবু স্বামী। হাসপাতালের অদূরেই চন্দননগর থানার পুলিশ তাঁর স্কুটিকে আটকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। ওই তরুণী নিজেকে চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালের নার্স বলে পরিচয় দেন। স্কুটিতে লাগানো স্টিকারও দেখান। তিনি হাসপাতালে নাইট ডিউটিতে যোগ দিতে যাচ্ছেন বলেও পুলিশকে জানান। তিনি এও বলেন, “প্রয়োজনে হাসপাতালে ফোন করে আমার পরিচয় জেনে নিতে পারেন।” কিন্তু নাছোড়বান্দা মহিলা কনস্টেবল তা মানতে নারাজ। এরপর ওই নার্স বলেন, “আপনি যদি ফোন না ধরতে চান তাহলে শুধু শুধু অপদস্থ করার অর্থ কী?” এরপরই দু’জনের মধ্যে তীব্র বচসা শুরু হয়ে যায়। ওই মহিলা কনস্টেবল তাঁর ক্ষমতা জাহির করতে নার্সের গালে সপাটে চড় কষিয়ে দেন। রীতিমতো অমানবিকভাবে ওই নার্স ও তার হবু স্বামীকে আটক করে চন্দননগর থানায় নিয়ে আসা হয়। খবর দেওয়া হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। হাসপাতাল সুপার চন্দননগর থানায় ছুটে আসেন। তারপরই দু’জনকে ছাড়া হয়।
কিন্তু রাতের অন্ধকারে চরম অমানবিকএই ঘটনার দৃশ্য এক ব্যক্তি মোবাইলে ক্যামেরাবন্দি করেন। তা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতেই রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এদিকে, ওই নার্স এই ঘটনার পরই রীতিমতো মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। সাধারণ মানুষও এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। এ বিষয়ে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবীর জানান, তিনি বিষয়টি তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.