বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: পাত্র সেরিব্রাল পালসিতে (Cerebral palsy) আক্রান্ত।বিশেষভাবে সক্ষম পাত্রীও। কিন্তু তাতে কী? সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে দূরে সরিয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন দু’জন। শুরু করলেন নতুন জীবন।
নদিয়ার (Nadia) শান্তিপুরের গোবিন্দপুর কালীবাড়িতে গোধূলি লগ্নে অগ্নিকে সাক্ষী রেখে মালাবদল করেন দীপঙ্কর দত্ত ও কাকলি মল্লিক। দীপঙ্করের বাড়ি শান্তিপুরের বিবেকানন্দনগরে। বয়স ২৮ বছর, পেশায় তাঁত শ্রমিক। কাকলি শান্তিপুরের করমচাপুরের বাসিন্দা। দীপঙ্কর ও কাকলি দু’জনই শান্তিপুরের একটি প্রতিবন্ধী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। সেখানেই তাঁদের প্রথম দেখা। যদিও মুখ ফুটে কেউ কখনও পরস্পরকে নিজেদের ভালবাসার কথা বলতে পারেননি। দীপঙ্করের বাবা সুজনবাবু কিছুটা আন্দাজ করেছিলেন। এরপর তিনিই যোগাযোগ করেন কাকলির পরিবারের সঙ্গে। প্রস্তাবে রাজি হয়ে যান তাঁরা। শুরু হয় তোড়জোড়। শুভ দিনে এক হয় চার হাত। বোনের বিয়ের পর কাকলির দাদা অদ্বৈত মণ্ডল বলেন, “বোনের বিয়ে দিতে পেরে আমরা খুশি। আমি চাই, ওরা দুজনে সুখে থাকুক।” দীপঙ্করের বাবা বলেন, “এই ধরনের বিবাহযোগ্য ছেলে-মেয়ে থাকলে, তাঁদের বিয়ে দেওয়ার ব্যাপারেও আমি সহযোগিতা করব।”
জানা গিয়েছে, মারণ ক্যানসার শরীরে থাবা বসানোয় ১৯৯২ সালে দীপঙ্করের বাবা সুজন দত্তের একটি পা বাদ যায়। বিশেষভাবে সক্ষম হয়ে পড়ার পর সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরে প্রতিবন্ধী ভাতা-সহ প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা তিনি পেয়েছেন। অন্যরাও যাতে সেই সব সুযোগ-সুবিধা পান, সেই ভাবনাচিন্তা থেকেই শান্তিপুরে প্রতিবন্ধীদের জন্য একটি সংগঠন তৈরি করেন তিনি। সুজনবাবুই সংগঠনের সভাপতি। ছেলে ও পুবধূও সেই সংগঠনের সঙ্গেই যুক্ত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.