জ্যোতি চক্রবর্তী, বসিরহাট: শ্যালিকার বিয়ের আগেই আত্মঘাতী জামাইবাবু। মৃতের নাম অর্জুন মাঝি। গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন অর্জুন। তবে অর্জুনের মৃত্যুর কারণ নিয়ে ক্রমশ জটিল হচ্ছে রহস্য। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার হাসনাবাদ থানার ধরমবেড়িয়া গ্রামে। অর্জুনের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে পরিবারে। বন্ধ করা হয় শ্যালিকার বিয়ের আয়োজন।
পেশায় মোটরভ্যান চালক অর্জুন মাঝি। বিয়ের পর থেকেই তিনি শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন বলে জানা যায়। বুধবার অর্জুনের শ্যালিকার বিয়ে থাকায় গত দুই-তিন ধরেই বাড়িতে ব্যস্ততা ছিল চরমে। বাড়ির সব কাজের ভারও অর্জুন সামলাচ্ছিলেন বলে জানান পরিজনেরা। তবে মঙ্গলবার রাত থেকেই হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যান অর্জুন। এরপর তাঁর খোঁজ শুরু করেন পরিজনেরা। বুধবার সকালে বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে একটি আমবাগানে তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান প্রতিবেশীরা। তাঁরাই দেহটি উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেয়। শ্যালিকার বিয়ের দিন জামাইবাবুর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনা জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। কান্নার রোল ওঠে বাড়িতে। বন্ধ করে দেওয়া হয় বিয়ের সমস্ত আয়োজন। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠায়। তবে অর্জুনের মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয় পুলিশের মনে। বিয়েবাড়ির সমস্ত কাজ সামলানোর পরই অর্জুন হঠাৎ নিখোঁজ হন কী করে? তা জানতে অর্জুনের স্ত্রী শ্যামলী মাঝিকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি জানান, ”কী কারণে আমার স্বামী আত্মঘাতী হয় সেই বিষয়ে আমি কিছুই জানি না, বলতে পারব না।”
তবে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, অর্জুন আত্মঘাতী হয়েছেন। যদিও স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি করেন, ”অর্জুনের দেহ গাছ থেকে নামানোর সময় তাঁর দেহে রক্তের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনাটি নিছক আত্মহত্যা নয়। তাঁকে খুন করা হয়েছে।” স্থানীয়দের একাংশের বাসিন্দাদের দাবি, ”শ্যালিকার সঙ্গে অর্জুনের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। শ্যালিকার বিয়ে মেনে নিতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে অর্জুন।” যদিও অর্জুনের পরিবার বা অর্জুনের শ্যালিকা এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.